জবির প্রথম নারী উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম
প্রকাশিত : ১৬:২৭, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রোখছানা বেগমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে চার বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ড. সাদেকা জবির ষষ্ঠ ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫ এর ১০(১) ধারা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. সাদেকা হালিমকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে চার বছর মেয়াদে নিয়োগ করা হলো।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। তিনি গত ১১ নভেম্বর মারা যান। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন সাদেকা হালিম।
ড. সাদেকা হালিম ঢাকার উদয়ন বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
ড. সাদেকার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে। তার বাবা ফজলুল হালিম চৌধুরী ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৩ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি নেন। পরে কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরেট সম্পন্ন করেন।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য ও সিনেট সদস্য ছিলেন ড. সাদেকা। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি কমিটি-২০০৯ এর কমিটিতে সদস্য ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষদের ডিন হিসেবে দ্বিতীয় এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রথম নারী ডিন ছিলেন অধ্যাপক সাদেকা। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য কমিশনে প্রথম নারী তথ্য কমিশনার পদে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে সাদেকা হালিমের লেখা প্রায় অর্ধশত গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। লিঙ্গ-সমতা, বন ও ভূমি, উন্নয়ন, আদিবাসী ইস্যু, মানবাধিকার এবং তথ্য অধিকার প্রভৃতি তার গবেষণার বিষয়।
এমএম//
আরও পড়ুন