ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জমে উঠছে লন্ডনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩, ২২ নভেম্বর ২০২১

ইংল্যান্ডে বাংলা খাবারের কদর বহু আগে থেকেই। করোনার কঠিন সময় কাটিয়ে আবারও জমে উঠছে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। দেশটিতে বাংলাদেশীদের মূল ব্যবসা রেস্টুরেন্ট। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ লাখ মানুষ জড়িত। তবে দক্ষ জনবলের অভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। 

লন্ডন ঘুরে এসে সেখানের রেস্টুরেন্ট ব্যবসার বিস্তারিত জানাচ্ছেন সাইদুল ইসলাম।

ব্রিটিশ রাজ্যে বাংলা খাবারের শুরুটা ১৮শ’ শতকের শুরুর দিকে। ১৮১০ সালে কারি হাউজ বা বাংলাদেশী খাবারের প্রথম দোকান খোলেন শেখ দ্বীন মোহাম্মদ। তার দেখাদেখি গড়ে ওঠে আরও অসংখ্যা বাংলা রেস্টুরেন্ট। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজারের মতো বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট রয়েছে লন্ডনে। বাংলাদেশীদের আয়ের প্রধান উৎসও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা।

লন্ডনের পথে পথে চোখে পড়বে এরকম বহু বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট। বিভিন্ন ধরনের বাংলা খাবার। নানা রকমের ভর্তা, শাক-সবজি, মাছসহ নানা স্বাদের বাংলা খাবার।

শুধু বাঙালিদেরই নয়, ভিনদেশীদেরও রসনা তৃপ্ত করে বাংলা খাবার।

হোটেলে খেতে আসা ভোজরসিকরা জানান, সব জায়গায় তো বাঙালি খাবার পাওয়া যায় না। খুব ইচ্ছা হলে যেখানে সব ধরনের বাঙালি খাবার ভর্তা থেকে শুরু করে সবই পাওয়া যায় সেখানে আসা হয়। এই ধরনের খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে। 

বাংলাদেশি ছাড়া সবচেয়ে বেশি ক্রেতা ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ। খাবারের মান ও দামে সন্তুষ্ট ক্রেতারা।

ক্রেতারা জানান, একবার খাবার পর মনে চায় কবে আবার খাব। সেই কারণে আসা হয় এখানে।

মহামারি করোনায় ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। তাই ব্যবসা অনেকটাই সংকুচিত করতে হয়েছে। আবার দক্ষ কর্মীর অভাবও ভোগায় রেস্টুরেন্ট মালিকদের।

রেস্টুরেন্ট মালিকরা জানান, “যদি আমাদের রেস্টুরেন্ট স্কিলড ওয়ার্কার আসতো তাহলে সুবিধা হতো। যারা আসছে তারা কাজ জানে না, এদের পেছনে অনেক খাটতে হয়। আমরা দক্ষ স্টাফের জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেছি। কিছু কিছু অর্গানাইজেশন এখানে আছে, তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবো।”

দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা গেলে বিলাতের বাংলা রেস্টুরেন্ট আরও সমৃদ্ধ হতো, সেইসাথে রেমিটেন্সেও রাখতে পারত বড় ভূমিকা।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি