ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জরিমানা নয় প্রশিক্ষণ চান রেস্তোরাঁ মালিকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৩, ১৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৭:২৭, ১৩ মার্চ ২০২২

রেস্তোরাঁ মালিকদের জরিমানা ও হয়রানি না করে কর্মচারিদের ট্রেনিংয়ের ব‍্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে অঙ্গীকার নিরাপদ খদ‍্য বাস্তবায়ন সেটি পূরণে আমরা বদ্ধপরিকর। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে সরকারের সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। ১১টা অথরিটি আমাদের মনিটরিং করে। আমরা সরকারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করে আসছি একটা অথরিটির মাধ‍্যমে নিয়ে আসতে যাতে এই সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া যায়। আমরা যেন ওয়ানস্টপ সার্ভিস পেতে পারি। এ শিল্পটি যাতে বিকশিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ করে বলেন, আমরা পুরোপুরি অদক্ষ (আনস্কিল্ড) লোকদের নিয়ে কাজ করছি। সমাজের অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করছি। যেভাবে আমাদের ওপর জেল জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে, যেভাবে আমাদের হাতকড়া পরিয়ে কোনো ধরণের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, এতে ব‍্যবসায়ীরা হতাশ, সংক্ষুব্দ। আমি সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো আপনারা আগে রেস্তোরাঁ কর্মীদের ট্রেনিং দেন, আমাদের শেখান, কীভাবে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করা যায়। তারপর সেটা না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালত করুন। তার আগে হাতে হাতকড়া দেবেন না। 

সারাদেশের রেস্তোরাঁ মালিকদের ভ‍্যাটের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষ যেসব হোটেলে খায়, সেখানে ভ্যাট ৩ শতাংশ করার দাবি জানান মহাসচিব ইমরান হাসান।

শনিবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন ইমরান হাসান। সভায় রাজধানীর আইডিইবি ভবনে সারাদেশ থেকে তিনশতাধিক সদস‍্য অংশ গ্রহণ করে। সভাপতিত্ব করেন সভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গণি 

সভায় অভিযোগ করে বলা হয়, যখন-তখন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই কাম‍্য নয়। সারাদেশে সরকারি বসরকারি হিসেবে প্রায় ৪৭৬ হাজার রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর সাথে প্রায় তিন কোটি মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সুতরাং এই ব‍্যবসাকে হুমকির মুখে না ফেলার জন‍্য আহ্বান জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা খোন্দকার রুহুল আমিন বলেন, পরিবহণ সেক্টরের পর হোটেল রেস্তেরাঁ অন‍্যতম একটি খাত। এখানে সমস্যা তৈরি হলে সব কিছু অচল হয়ে যাবে। দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকলে বুঝা যাবে পরিস্থিতি কেমন হয়। তাই বলবো কারো হাতে হাত কড়া পরাবেন না। আগামীতে আমরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করবো, মাঠে নামবো।

সংগঠনটির এক নম্বর যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন বলেন, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি পঞ্চাস বছর কিন্তু আমরা যারা ফুড সেক্টরে কাজ করছি আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। আমরা অনেকগুলি অথরিটি না একটা ছাতার নিচে আসতে চাই। নিজেরা শিখতে চাই, স্টাফদের ট্রেনিং দিতে চাই। এবং কি করলে জরিমানা হবে না বা করবে না। কি করলে ভালভাবে ব‍্যবসা পরিচালনা করা যাবে সে সম্পর্কে আজ পযর্ন্ত কোনো সংস্থা আমাদেরকে সহযোগিতা করে নাই। নিরাপদ খাদ‍্য বাস্তবায়নে একটি কমিটি করে দেয়ার আবেদন জানান তিনি।

ফেনী জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আবসার কবির শাহজাদা বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লেও আমরা দাম বাড়াতে পারি না। সম্প্রতি জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় রুটি পনেরো টাকা করায় জবাবদিহি করতে করতে শেষ। গোস্তের দাম সাড়ে চারশো টাকা থেকে এখন ৭'শ টাকা হয়েছে কিন্তু আমরা দাম বাড়াতে পারছি না। আমাদের অবস্থা রোহিঙ্গাদের থেকেও খারাপ বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহ সভাপতি এম. রেজাউল করিম সরকার রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ‍্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি