জর্ডানে ইসরায়েলি দূতাবাসে গুলিবর্ষণ, নিহত ২
প্রকাশিত : ০৯:১৫, ২৪ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৩:১৮, ২৪ জুলাই ২০১৭
আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ওই এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। ছবি আল জাজিরা
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলি দূতাবাসে গুলিবর্ষণে দু’জন নিহত ও একজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। নিহত দুজনই জর্ডানের নাগরিক। আর আহত ব্যাক্তি ইসরায়েলি। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির।
বিবিসি ও রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার এ ঘটনার পর দূতাবাস ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
কী থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় এখনও স্পষ্ট নয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়, গুলিবর্ষণের আগে একটি ফার্নিচার কোম্পানির দুই কর্মী (জর্ডানের নাগরিক) সেখানে ঢুকেছিলেন। তারাই সম্ভবত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, তিনি আহত জর্ডানের নিরাপত্তা রক্ষীকে পরে থাকতে দেখেছেন।
দূতাবাসের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বন্দুকধারীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও তিনি জানান। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। তার আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের পাল্টা গুলির মুখে পড়তে হয় তাদের।
নিরাপত্তাবাহিনী দূতাবাস থেকে সব কর্মীকে সরিয়ে নিয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
১৯৪৯ থেকে ৬৭ সাল পর্যন্ত পূর্ব জেরুজালেমের দখলে ছিলো জর্ডান। এর পর থেকেই ইসলাম ও ইহুদি দু ধর্মের কাছেই পবিত্র হারাম আল শরিফ জায়গাটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে জর্ডান। হারাম আল-শরিফে ঢোকার পথে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ক্যামেরা ও মেটাল-ডিটেক্টর বসানোসহ নিরাপত্তা জোরদার করা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। এ নিয়ে বিক্ষোভ-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত তিনজন ফিলিস্তিনি ও তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। সে নিয়ে ক্ষুব্ধ জর্ডানও। শুক্রবার আম্মানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ করে কয়েক হাজার মানুষ।
//এআর
আরও পড়ুন