‘জলবায়ু বিপর্যয়ে ১ কোটি মানুষ ঢাকায় স্থানান্তর হবে’
প্রকাশিত : ১৪:১৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বিশ্বব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এ বিপর্যয়ের ফলে ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ ঢাকায় স্থানান্তর হবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে ‘দ্য ডেইলি স্টার সেন্টার’ এ অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জলবায়ু বাজেট ২০১৯-২০ অর্থবছর: সুশীল সমাজ সংস্থার বিশ্লেষণ ও প্রতিফলন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা জানান বক্তারা।
গোলটেবিলে বক্তারা বলেন, ‘গ্রামীণ জনগণকে যেন দেশের মধ্যেই অভিবাসী হতে না হয় এ জন্য গ্রামের অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ বিনিয়োগ করতে হবে। বছরের পর বছর বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বরাদ্দের পরিমান বাড়লেও তা আদৌতে কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় কাজে লাগানো হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে।’
আলোচনার শুরুতেই জলবায়ু বাজেটের বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিড অব রিসাইলিয়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট জাস্টিস প্রোগ্রামের তানজির হোসাইন ও প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়দা লামিয়া হোসাইন।
অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় জলবায়ু বাজেট বিষয়ে আলোচনা করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. ছলিমুল হক।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিপর্যয়ের ফলে আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ কোটি মানুষ ঢাকা শহরে চলে আসবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু বিপর্যয় প্রতিরোগী আমাদের উদ্যোগ হতে হবে। হাতে নিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা।’
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতার দিক দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে যা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পানির পরিবর্তন মানেই জলবায়ু পরিবর্তন। ফলে বিশুদ্ধ পানির সংকট হবে।’ তিনি জলবায়ুর বিপর্যয় ঠেকাতে সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি বিনিয়োগ বাড়াতে আহবান জানান। জলবায়ুর বিষয়ে বিশদ গবেষণা ও অধ্যায়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গরম বৃষ্টি বললেই জলবায়ু পরিবর্তন বোঝায় না। আমরা ভুল বুঝি। এর জন্য বেশ লেখাপড়া ও গবেষণা দরকার।’
গোলটেবিল আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘বছরের পর বছর সরকার বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বরাদ্দ বাড়াচ্ছে। তবে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা এক শত মিটার যেতে চাইলে ৫০ মিটার যেতে পারি। গেল বছর ১৯ জেলায় বন্যা হয়েছিল কিন্তু এ বছর ২৮ জেলায় বন্যা হয়েছে। আমরা আমাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি অন্য দিকে জলবায়ু বিপর্যয়ের বিষয়টিও কিন্তু থেমে নেই।’
গোলটেবিল এ আলোচনায় রাজধানী ঢাকা ও দেশে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আগতরা বিভিন্ন পরামর্শমূলক মন্তব্য প্রদান করেন।
এমএস/
আরও পড়ুন