জাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত সভা স্থগিত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা
প্রকাশিত : ১২:২৩, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৭, ২০ নভেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ওই সভা স্থগিত ঘোষণা করার পর ছাত্রশিবিরকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
সভায় জাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য অসুস্থতাজনিত কারণে উপস্থিত না থাকা এবং শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পরিচয় পর্ব শেষে সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এসময় সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে বামপন্থী সংগঠনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এই বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ও প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম সভা শুরু করেন। সভার এক পর্যায়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সোহাগি সামিয়া উপস্থিত সদস্যদের কে কোন সংগঠন থেকে এসেছে তা জানতে চেয়ে পরিচিতি পর্বের দাবি জানায়।
তার দাবির প্রেক্ষিতে পরিচয় দিতে শুরু করেন বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা প্রতিনিধিরা। পরিচিতি পর্বের মাঝে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন জাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকায় এবং সবার বসার জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আজকের সভাটি পরিচিতি পর্ব শেষে স্থগিত করা হবে এবং পরবর্তীতে আরও বড় পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই সভাটির আয়োজন করা হবে।
এসময় মো. শরীফ নামে এক ছাত্রদল কর্মী পরিচয় দেওয়ার সময় শিবিরের উপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাইলে সেখানে থাকা অন্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা পরিচয় পর্বের মাঝখানে অতিরিক্ত কথা বলায় আপত্তি জানান।
এদিকে, সভা মুলতবি করায় সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি প্রাপ্তি তাপসী প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে প্রতিবাদ জানালে উপ-উপাচার্য তার ব্যাখ্যা দিতে গেলে ছাত্রফ্রন্টের সজীব আহমেদ জেনিচ ও সোহাগী সামিহা উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এসময় উপস্থিত অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা তাদের উচ্চবাচ্যের প্রতিবাদ জানায়।
উপ-উপাচার্য উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। এটি আমাদের বিষয় না।’
এসময় সাংস্কৃতিক জোটের প্রাপ্তি তাপসী উচ্চবাচ্য করেন এবং ছাত্রফ্রন্টের সজীব আহমেদ জেনিচ ও জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিনিধি অমিত ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাদের সাথে ছাত্রদলের কর্মী পরিচয় দেয়া কয়েকজনকেও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ‘বাকশালের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ বলে পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন। পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দিতে উভয়পক্ষ কাউন্সিল কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়।
এএইচ
আরও পড়ুন