ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

জাদুঘরের মূল আকর্ষণ মদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৫৭, ১৮ অক্টোবর ২০২১

জাদুঘর শব্দটা মাথায় এলেই মমি, প্রাচীন মুদ্রা কিংবা ভাস্কর্যের কথাই মাথায় আসে সবার। কিন্তু এমন এক জাদুঘরের সন্ধান মিলেছে যেখানকার মূল আকর্ষণ হচ্ছে ‘মদ’।

ভাবতে আশ্চর্য লাগলেও ভারতের গোয়ায় এমনই এক জাদুঘর তৈরি করেছেন ‘নন্দন কুডচাডকর’ নামের এক ব্যবসায়ী। যে কোনও সুরাপ্রেমীর জন্য উপভোগ্য হতেই পারে জাদুঘরটি।

তবে যে কোন মদ নয়, মূলত গোয়ার বিখ্যাত মদ ‘ফেনি’ই রয়েছে জাদুঘরটির যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রে। সুপ্রাচীন এই স্থানীয় মদ যে কেবল পানীয় হিসেবেই জনপ্রিয় তা নয়, সেই সঙ্গে এই মদকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা শিল্পকর্মও। সেই সব শিল্পকর্মেরই অসংখ্য প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে উত্তর গোয়ার ক্যান্ডোলিম গ্রামের জাদুঘরটিতে। যার মধ্যে অন্যতম গোয়ার ঐতিহ্যবাহী বড় আকারের সুরাপাত্র। বহু শতাব্দী আগে মদ সংরক্ষণের সময় এ পাত্রগুলো ব্যবহার করা হতো। 

স্থানীয় ব্যবসায়ী নন্দন কুডচাডকর এভাবেই গোয়ার সুরা-সংস্কৃতির ইতিহাসকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। নন্দন একজন প্রত্ন সংগ্রাহক। 

হঠাৎ এমন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলে, ‘‘আপনি যদি স্কটল্যান্ডে যান দেখবেন সেখানকার নাগরিকরা তাদের জল কিংবা পানীয় সব কিছু নিয়েই দারুণ খুশি। আবার রাশিয়ায় গেলেও তারা আপনাকে দেখাবে কী ধরনের পানীয় তারা পান করেন। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে অ্যালকোহলকে একেবারেই আলাদা চোখে দেখা হয়। আর সেকথা মাথায় আসতেই আমি সিদ্ধান্ত নিই দেশের প্রথম অ্যালকোহল জাদুঘর নির্মাণের।”

জাদুঘর দেখে চমকে গিয়েছেন টুরিস্টরাও। এক টুরিস্টের জানান, ‘‘এখানে যা যা আছে তা অভাবনীয়। এখানে এসে আমি চমকে গিয়েছি। এখানে টুরিস্টদের জন্য দারুণ সব চমক রয়েছে।”
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/ এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি