জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা কাজের দরপ্রস্তাব অনুমোদন
প্রকাশিত : ২৩:০৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:১৩, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
দেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়ন করবে জাপানের সবচেয়ে পুরোনো নির্মাণ কোম্পানি টোয়া কর্পোরেশন। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সারাদেশ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এগুলো হয়ে গেলে যত্রতত্র শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে না। যেসব পরিকল্পনাবিহীন রাস্তাঘাট ও হাটবাজার তৈরি হচ্ছে, এগুলো বন্ধ হবে। কোন জায়গায় কি করলে ঠিক হবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো। আমরা শহরে আর কোনোভাবে চাপ বাড়াতে চাই না। আমরা চাই শিল্প-কারখানা গ্রামেগঞ্জে হবে, সেখানকার লোক সেখানেই চাকরি করবে। তাদেরকে চাকরির জন্য শহরে আসতে হবে না।’
তিনি বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার ১০ একর জমিতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এর সব কাজ প্রায় শেষ। আমরা এখন ভূমি উন্নয়নে কাজ করবো। ভূমি উন্নয়ন কাজসহ অন্য অবকাঠামোগত কাজ করবে জাপানের নির্মাণ কোম্পানি টোয়া কর্পোরেশন। এতে খরচ হবে এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আড়াইহাজারে জাপানিদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় বিনিয়োগ আসবে বলে আশা প্রকাশ করনে অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কেনারও একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন। কিন্তু স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে পরে এটি বাড়িয়ে ২ হাজার করে দিবে বলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি জানিয়েছে।
এসি
আরও পড়ুন