জাবিতে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
প্রকাশিত : ২০:৩৩, ২ জানুয়ারি ২০১৯
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রত্মতত্ত্ব, চারুকলা এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের গত ৮ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র গাজী ইব্রাহিম আল মামুন ও মোঃ শহিদুল ইসলামের দায়েরকৃত রীটের ( রীট নং- ১৫৯২৪/২০১৮) বিপরীতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (২ জানুয়ারী) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ উল্লেখিত বিভাগ সমূহের সকল নিয়োগ কার্যক্রম আগামী ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছে। এছাড়া প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনী ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের উক্ত বেঞ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, উপাচার্য-জাবি, রেজিস্ট্রার-জাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি বরাবর রুল জারী করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে একটি, প্রত্মতত্ত্ব বিভাগে দুইটি, চারুকলা বিভাগে একটি এবং সরকার ও রাজনীতি দুইটি অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীর এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয় ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ১ম বিভাগ ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার জন্য জিপিএ ৪.২৫ এবং মানবিক শাখার জন্য জিপিএ ৪.০০ এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ১ম শ্রেণি ও গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২ মার্চ ২০১০ তারিখে জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশি কে সনাতন পদ্ধতিতে প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২.০০- ৩.০০ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ এবং জিপিএ ১.০০-২.০০ এর কমকে তৃতীয় বিভাগ বলে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে উক্ত নীতিমালা অনুসরন করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিট আবেদনকারী শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে যে জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে একই জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না ফলে আমি মনে করছি আমার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এছাড়া ২০১০ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এ সর্ম্পকিত প্রজ্ঞাপন ও লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে মনে করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, আমি শুনেছি এমন একটা আদেশ এসেছে, তবে বিস্তারিত জানিনা।
আরকে//
আরও পড়ুন