জামিন পেলেন ডা. শরীফ
প্রকাশিত : ২০:২৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
কথা কাটাকাটির জের ধরে ভ্রাম্যমান আদালত দিয়ে কারাগারে পাঠানো লক্ষ্মীপুরের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সালেহ উদ্দীন শরীফ জামিন পেয়েছেন।
৬৫ বছর বয়সী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার ও সাজা বাতিলের দাবি জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
বিএমএ জেলা সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের জেলা আহ্বায়ক ডা. জাকির হোসাইন বলেন, আমরা আশা করি, চিকিৎসকদের দাবি, হাইকোর্টের রুল আর সুশীল সমাজের প্রতিবাদে সাবেক সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহারসহ সাজা বাতিল করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডা. শরীফকে জামিনে মুক্ত করে এনেছি। পাশাপাশি জেলাপ্রশাসকের সঙ্গে সব চিকিৎসকরা দেখা করে অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। জেলা প্রশাসন অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথ দিয়ে আগে-পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ডা.সালাহ উদ্দিন শরীফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুজনের সন্তান ওই বিদ্যালয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ পাঠিয়ে সালাহ উদ্দিনকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন সালাহ উদ্দিন শরীফকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজা ঘোষণার পরই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত পরিচালনা করেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান।
সাবেক সিভিল সার্জনকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চিকিৎসকরা। বিএমএ লক্ষ্মীপুর শাখার নেতারা ব্যক্তিগত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সাজা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১০টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন বিএমএ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা। তারা সালাহ উদ্দিন শরীফের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে মুক্তি না দিলে কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন চিকিৎসক নেতারা।
আর
আরও পড়ুন