ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জাল দলিল বাতিল করবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৬, ৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২১:১৫, ৪ আগস্ট ২০১৭

নিজ নামে জাল দলিল করে অপরের সম্পত্তি নিয়ে নেয়ার ঘটনা অহরহই ঘটছে। এতে প্রকৃত মালিককে পড়তে হয় বড় ধরণের বিড়ম্বনায়।

কিছু অসাধু লোক নানা কৌশলে জাল দলিল সৃষ্টি করে আর ভুক্তভোগী হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তবে আইনি মোকাবিলার পথ জানা থাকলে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে এই প্রতারণা থেকে। পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট কাজী মাজেদুল আলম

যা করবেন

জাল দলিল সম্পর্কে জানার পরই বাতিলের জন্য দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হবে। এ ছাড়া তামাদি আইনের প্রথম তফসিলের ৯১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে মামলা করা যাবে।

এটা দেওয়ানি আদালতে মামলা হলে বিচারক বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করবেন। বিস্তারিত শুনে সাক্ষীর মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করবেন। এ ক্ষেত্রে জাল দলিলটি আদালতে উপস্থাপন করে ভুয়া প্রমাণ করা যায়।

জাল দলিল বাতিলে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪০ ধারা অনুসারে দলিল আংশিক বাতিলের মামলাও করা যাবে। দলিল বাতিলের সঙ্গে সম্পত্তির দখল পাওয়ার মামলাও করা যায়।

আদালত দলিল বাতিলের আদেশ দিলে ডিক্রির একটি কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠাতে হবে বালাম বইতে লিপিবদ্ধ করার জন্য।

দলিল বাতিলের মামলায় কোর্ট ফি আইনের দ্বিতীয় তফসিলের ১৭(৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কোর্ট ফি দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে যার স্বার্থ আছে, তিনিই কেবল দলিল বাতিলের মামলা করতে পারবেন।

জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা

জাল দলিল তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৪৭৩ ধারায় মামলা করা যায়। বিচারক চাইলে সেই মামলা সরাসরি আমলে নিয়ে আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা দিতে পারেন। তা ছাড়া মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠাতে পারেন। তদন্তে দলিল ভুয়া প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিতে পারবেন আদালত।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি