জিডিপিতে ভ্যাটের অবদান বাড়াতে হবে: অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:১১, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আমাদের দেশে রাজস্ব আয় প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বর্তমানে দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ভ্যাটের অবদান ১১ শতাংশ। আমরা আগামী ২০২১ সালে এই অবদান ২০ শতাংশে নিয়ে যেতে চাই। আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে রাজস্ব আয় প্রতিবছরই বাড়ছে। আবার বাজেটের আকারও বছর বছর বাড়ছে। তবে এখনও আমাদের সে বাজেট ও রাজস্বের পরিমান বিশ্বের অনেক দেশের আয়ের তুলনায় কম। বর্তমানে জিডিপিতে ভ্যাটের অবদান ১১ শতাংশ। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ভ্যাটের এ অবদান বাড়িয়ে ২০ শতাংশ নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভ্যাটের অবদান বাড়াতে চাই। কিন্তু জনগণ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে তাতে মনে হয় সম্ভব হবে না। তাই এনবিআরকে বলবো রাজস্ব বাড়াতে তারা যেন এ ম্যাসেজটা নিতান্ত সবার কাছে পৌঁছে দেন যে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে চাই। সেজন্য অন্য সবদিকের মতো রাজস্বের পরিধিও বাড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা পেতে চেষ্টা করছি। তবে না পেলেও আমারা হতাশ হবো না। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশে এর থেকেও বেশি সুবিধা পাবো।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, রাজস্ব আহরণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ওপর বিশ্বাস বা আস্থার ঘাটতি আছে। কিন্তু সবার ধারনা পাল্টে দিতে হবে কর্মকর্তাদের জ্ঞান, বিশ্বাস ও কাজ দিয়ে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে হবে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। তার সহাসী ভূমিকার কারণেই বিশ্বব্যাংকের কোন সহায়তা ছাড়াই আজ দেশে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিত্তশালীদের ভ্যাট দেওয়ার দিকে যেমন আগ্রহী হতে হবে। তেমনি সরকারের ধারাবাহিকতাও রাখতে হবে।
আরকে/টিকে
আরও পড়ুন