ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

জিম্মি নাবিকরা মুক্ত, স্বস্তিতে ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুবের পরিবার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

সোমালিয়ায় জলদস্যুদের কবলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক দীর্ঘ ৩১ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন। জিম্মি থাকা নাবিকদের একজন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া এলাকার মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে আইয়ুব খান। জিম্মি অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে।

জাহাজের ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে প্রায় এক বছর আগে যোগ দেন আইয়ুব। সেখানে ইন্টার্নি করছিলেন তিনি। এরপরই আইয়ুব দস্যুদের কবলে পড়েন এবং জিম্মি থাকেন। এতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিল পরিবারের সদস্যরা। এদিকে, প্রায় দেড় মাস আগে আইয়ুবের বাবা আজহার মিয়া মারা যান।

আইয়ুবের চিন্তায় ভেঙে পড়েন আইয়ুবের মা হুমায়ারা বেগম।

তবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অন্য নাবিকদের সঙ্গে দস্যুদের জিম্মিদশা থেকে সেও মুক্ত হয়েছেন। মুক্তি পেয়েই তার মাকে ফোন করেন আইয়ুব। এতে স্বস্তি ফিরেছে তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে।

আইয়ুবের মা হুমায়ারা বেগম বলেন, ‘রোরবার ভোর ৬টার দিকে আইয়ুব আমাকে ফোন করেছে। সে জানিয়েছে, তারা দস্যুদের কবল মুক্তি পেয়েছে। এ খবর পেয়ে আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তার মুক্তির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিলাম। আল্লাহর দরবারে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। নাবিকদের মুক্ত করার জন্য জাহাজের মালিক পক্ষকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আইয়ুবের বন্ধু ইয়াসিন হোসেন বলেন, আইয়ুব খুব ভালো ছেলে। সে যেন দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসে, সে অপেক্ষায় আছি।

গত ১২ মার্চ কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের দিকে যাওয়ার সময় ভারত মহাসাগরে ওই জলদস‍্যুদের কবলে পড়ে  ‘এমভি আবদুল্লাহ’। ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে জিম্মি করে নিয়ে যায় দস্যুরা। 

এতদিন ধরে মোজাম্বিকের কাছাকাছি জলসীমায় রাখা হয়েছিল জাহাজটি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি