ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জিরা ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারীতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১০, ৩১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ০৯:২৩, ১ নভেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও জিরার ব্যবহার রয়েছে। এই মশলাটি রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়।তবে শুধু যে স্বাদের জন্যই এ মশলাটি ব্যবহার করা হয় তা ভাবা উচিত নয়। কেননা প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র থেকে জানা যায় যে এ মশলাটি  রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখতেও বিরাট ভূমিকা পালন করে থাকে।

বাংলাদেশ-ভারতের পাশাপাশি সমগ্র এশিয়া মহাদেশেই  জিরার স্বাস্থ গুণাগুণের জন্য বিশেষভাবে সুপরিচিত।তবে অমরা যেমন রান্নায় জিরাকে ব্যবহার করে থাকি।অন্যান্য দেশে রান্নাসহ জিরা ভিজিয়ে রেখে এর পানি পান করে থাকে।আজকে আমাদের এ আয়োজনে থাকবে জিরা ভিজিয়ে খেলে কি কি উপকারীতা পাওয়া যায়।  

১) হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে  

বাঙালি মানেই জন্ম খাদ্যরসিক। আর এমনটা হওয়া মানেই বদ-হজম এবং পেটে গ্যাস জমা । এমন অবস্থা যদি আপনারও হয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো জিরা ভিজিয়ে সেই পানি পান করা শুরু করুন, দেখবেন অধিক পরিমাণ খাবার খেলেও এবার থেকে আর বদ-হজন হবে না।  জিরাতে থাকা একাদিক উপাকারি উপাদান হজম শক্তির উন্নতি ঘটানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।

২. শরীরকে ভিতর থেকে তরতাজা রাখে

 নিয়মিত জিরার পানি পান করলে শরীরে জলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরের তাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে শরীর শুকিয়ে গিয়ে কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শরীরকে ডিহাইড্রেট করার পাশাপাশি খাওয়া মাত্র দেহের ভিতরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক হতে শুরু করে। ফলে শরীরে লিকুইড ব্যালেন্স ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে শরীর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৩. রোগ প্রতিরাধ ক্ষমতা বাড়ায়

 জিরায় উপস্থিত আয়রন শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও দূর করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোন রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না । তাই সারা বছর যদি চাঙ্গা থাকতে চান, তাহল আজ থেকেই জিরা পানি  খাওয়া শুরু করতে পারেন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।

৪. ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে

 প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে জিরা পানি  খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স যেমন ঠিক থাকবে  ঠিক তেমনি পটাশিয়ামের ঘাটতিও দূর করতে সাহায্য করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার কমতে শুরু করে। আসলে পটাশিয়াম, শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখার মাধ্যমে রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা নিয়মিত যদি এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে হার্ট নিয়ে চিন্তা  অনেকটাই কমে যাবে।

৫. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে

জিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার এত সুন্দরভাবে হজম হতে শুরু করে যে ওজন বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফাইবার আরেকভাবেও ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। আর কম খাবার খাওয়া মানে ওজনও কমে যাওয়া।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

এম

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি