ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পথ কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ১৯ মে ২০১৯

পৃথিবীর জীবন মানুষের জন্য একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র। সৃষ্টিকর্তার করুণায় মেধা, পরিশ্রম, প্রেরণা ও যুৎসই পরিবেশের সমন্বয়ে মানুষ অর্থ, ক্ষমতা, খ্যাতির শীর্ষে চলে যায়। এসব প্রাপ্তিকে স্রষ্টার পক্ষ থেকে নেয়ামত মনে করে মানুষ স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতায় আনত হয় ও মেধাকে সেবায় রূপান্তরিত করে তাহলে সে পরীক্ষায় সফল। আর যদি অহঙ্কারী হয়ে ওঠে ও সীমালঙ্ঘন করে তাহলে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছার পরও জীবনের পরীক্ষায় বিফল।

কৃতজ্ঞতা হলো আল্লাহকে স্বীকৃতি দেওয়া আর অকৃতজ্ঞতা হলো আল্লাহকে অস্বীকৃতির পথ। সৃষ্টিকর্তা মেধা, সৃজনশীলতা, দক্ষতা, কারিগরি জ্ঞান, অর্থ বা সম্পদ মানুষের মধ্যে বন্টন করে দেন। এগুলো লালিত-পালিত করে কেউ হয় স্বনামধন্য আর কেউ হয় নগণ্য। কেউ কর্মঠ আর কেউ অলস, কেউ লব্ধপ্রতিষ্ঠ বা কেউ পরজীবী।

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সফল ব্যবসায়ী, প্রশাসক, বুদ্ধিজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, গায়ক বা লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে শুধু দেখতে চান সে করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত কিনা।

‘আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র বীর্য থেকে তাকে পরীক্ষার করার জন্য। অতঃপর তাকে করেছি শ্রবণ, দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি- হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে। আমি অকৃতজ্ঞদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি শৃ্ঙ্খল বেড়ি ও প্রজ্বলিত অগ্নি।’ (সূরা দাহার ৭৬/২-৪)

স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতাই যে কোন মানুষকে জীবনের মঞ্চে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বর্ণপথের সন্ধান দেয়। সাধারণ মানুষ এই পৃথিবীতে খ্যাতি প্রতিষ্ঠা, সম্মান, সম্পদের সাগরে ডুবে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার সূত্রটি ভুলে যায় এবং ব্যর্থ হয়। আর অনন্য মানুষ খ্যাতির যত শিখরে উঠুক না কেন স্রষ্টার করুণাকে সব সময় স্মরণ রাখে এবং সফল হয়।

হযরত সুলায়মান (আ.) ক্ষমতা, যশ, খ্যাতি স্রষ্টার পক্ষ থেকে যে একটি পরীক্ষা মাত্র তা বুঝতে পেরেছিলেন বলেই কৃতজ্ঞতায় স্রষ্টার প্রতি মাথানত করে দিয়েছিলেন ও জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

(শোকরিয়া, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ)

এএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি