ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জুমার দিনে যে সময় কবুল হয় দোয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৫, ২৭ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১২:৩৬, ২৭ মার্চ ২০২০

সারাবিশ্বের মুসলিমদের নিকট জুমার দিনটি অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আলাদা। এটা বান্দা নয়, স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা দিনটিকে আলাদা মর্যাদা দান করেছেন। পৃথিবীব্যাপী মানুষের চাওয়ার অন্ত নেই। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ স্রষ্টার আনুকূল্য লাভ করতে চায়। এ জন্য তারা পবিত্র জুমার দিনটিকে দোয়া কবুলের জন্য বেছে নিয়ে থাকেন।

কেননা, আল্লাহ তায়ালা কোরআনে জুমার দিনটিকে শ্রেষ্ঠ দিনের মর্যাদা দিয়েছেন। এটি এমন একটি দিন যাকে কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে একটি সূরাও। স্বাভাবিকভাবে আল্লাহর বান্দার কাছে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। 

হাদিসে এসেছে, এ দিনের কিছু সময়ে আল্লাহ বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ হয়েছে। তবে জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় কোনটি সে সম্পর্কে মতানৈক্য থাকলেও দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনও মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন। (বুখারি) মোটকথা, জুমার দিনে বান্দা দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন।

এ সময় সম্পর্কে আরো কিছু অভিমত তুলে ধরা হলো- জুমার নামাজে সুরা ফাতিহার পর ‌আমিন বলার সময়। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে। মুয়াজ্জিন আজান দেয়ার সময়। জুমার দিন সূর্য ঢলে পড়ার সময়। ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরে দাঁড়ানোর সময়। উভয় খুতবার মধ্যবর্তী সময়। জুমার দিন ফজরের আজানের সময়। প্রত্যেক জুমায় আলাদা আলাদা সময়ে।

গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য কথা হলো, দোয়া কবুলের সময়টি পুরোদিনের ভেতর লুকিয়ে আছে। পুরোপুরি নির্ধারিত না করার উদ্দেশ্য হলো, বান্দা যেন জুমার দিন সর্বদা ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়ায় মশগুল থাকে। জুমার দিনে মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফ হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও এক জুমা থেকে অন্য জুমা মাঝের সব গুনাহকে মাফ করে দেয়; যতক্ষণ পর্যন্ত সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত না হয়। 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি