জুলাই আন্দোলনে সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘ
প্রকাশিত : ০১:২৪, ৭ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ০১:৫৩, ৭ মার্চ ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে সময় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন ভলকার তুর্ক, যিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জুলাই বিপ্লবের শেষ দিকে তথা আগস্টের শুরতেই সেনাবাহিনী অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করে। সেসমউ তারা ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগ করেনি। অনেক স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আটকে দেয়ার খবরও জানা যায়।
৫ আগস্ট হাসিনার পতন ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর যতগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়ে তার মধ্যে সেনাবাহিনীর ভূমিকাও রয়েছে। তবে এতোদিন বিভিন্ন সংবাদে জানানো হয় যে, সকল পর্যায়ের সদস্যদের আপত্তির কারণেই সেনাবাহিনীর অবস্থান হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে যায়নি। তবে এ বিষয়ে নতুন তথ্য জানালেন জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
বিবিসি একটি পডকাস্ট শো 'বিবিসি হার্ডটক'-এ তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে সেনাবাহিনী আন্দোলন দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এতে বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে গত বছরের জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের সময় আমি সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম যে, যদি সেনাবাহিনী আন্দোলন দমনের পথে যায় তাহলে তাদের জন্য শান্তিরক্ষী মিশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশে পরিবর্তন এসেছে এবং মোহাম্মদ ইউনুস সরকার গঠন করেছে।
বিবিসির ২২ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের হার্ডটক অনুষ্ঠানটি বুধবার প্রচারিত হয়েছে।
এমবি//
আরও পড়ুন