জেদ্দায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৩:১৬, ১৮ মার্চ ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী চেতনা ও আপসহীনতার প্রকাশ পায় তার ছেলেবেলা থেকে। তিনি ছেলেবেলার খোকা থেকে শেখ মুজিব, তা থেকে শেখ সাহেব এবং ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা ও পরবর্তীতে বিশ্বনেতা। সেই মানুষটির জীবন যদি পর্যালোচনা করি, তাতে দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
শুক্রবার (১৭ই মার্চ) জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা সভায় একথা বলেন কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শিশুদের প্রতি বন্ধুবৎসল। শিশুরা যেন সুন্দর সোনার বাংলাদেশে বড় হতে পারে সেজন্য তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন।
মোহাম্মদ নাজমুল হক আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিতকে মজবুত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা আয়োজনের প্রথম পর্বে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
তখন সেখানে কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগ, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, এ দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ত পর্বে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাংলা ভাষার শব্দের বানান প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসহ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ জেদ্দার বাংলা শাখা ও ইংলিশ মিডিয়াম ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচে গানে আগত অতিথিদের মুগ্ধ করে।
এএইচ
আরও পড়ুন