ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জেনে নিন প্যারাসিটামল কখন খাবেন আর কতটা খাবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৩, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অনেকেই শরীরের তাপমাত্রা বাড়লেই বা একটু জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। কারণ জ্বর গায়ে বাড়িতে শুয়ে থাকলে কী চলবে! চিকিত্সকদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্বরের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। সাধারণ ভাইরাল ফিভার নিজে থেকেই সেরে যাওয়ার কথা। এর জন্য প্রয়োজন বিশ্রাম আর পর্যাপ্ত পানীয় খাবার।

দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটিছাটার অভাবে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে স্কুলে, কলেজে বা অফিসে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু চিকিত্সকদের মতে, এই অভ্যাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাধারণ জ্বর হলে গা হাত পা ব্যথা কমাতে অনেকেই অ্যাসপিরিন বা আইব্রুফেন জাতীয় ব্যথার ওষুধ (পেইনকিলার) খান। কিন্তু ফি বছর এই সময় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। আর না জেনে বুঝে ওষুধ খেলেই বিপদ! আসুন জেনে নেওয়া যাক প্যারাসিটামল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য, যা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

বেদনানাশক ওষুধ সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত। এক, নারকোটিক বেদনানাশক ওষুধ, যেমন-মরফিন, প্যাথিডিন ইত্যাদি। এগুলো মাদকজাতীয় এবং আসক্তি তৈরি করে। এ জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া সম্পূর্ণ অনুচিত। আর একটি ভাগ হচ্ছে, অ-মাদক বেদনানাশক, যেমন-প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন ইত্যাদি।

জ্বর উপশমে প্যারাসিটামল অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এটি বিক্রি হয় এবং যে কেউ কিনতে পারে। কিন্তু তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া প্যারাসিটামল ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।

দৈহিক বা সোমাটিক ব্যথায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অ-মাদক বেদনানাশক, বিশেষ করে প্যারাসিটামলই ব্যবহৃত হয়। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, পেশির ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, ঋতুকষ্ট ইত্যাদিতে প্যারাসিটামল খুবই কার্যকর।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট একটি, কখনও প্রয়োজনে দুটিও খেতে হতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় তিন-চারবার খাওয়ার পরামর্শই দেন চিকিত্সকরা। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, ২৪ ঘণ্টায় চার গ্রাম বা ৪ হাজার মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না।

ব্যথা বা জ্বরের জন্য তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খেতে পারেন। এতে উপকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত গুরুতর নয়। তাই শিশুদেরও বয়স আর ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।

৪ হাজার মিলিগ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাওয়া মোটেই উচিত নয়। কারণ তাতে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

সূত্র: জিনিউজ

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি