ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জেনে নিন মাংকি ফিভারের লক্ষণগুলো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

প্রতিবেশী দেশ ভারতে ক্রমশ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘মাংকি ফিভার’-এর। দেশটির কর্ণাটকে ইতিমধ্যেই নতুন এই জ্বরে অন্তত ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১৫ জনের রক্তে মিলেছে এই জ্বরের জীবাণু। কর্ণাটকের শিবমোগ্গা জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার জনকে ‘মাংকি ফিভার’-এর টিকা দেওয়া হয়ে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

১৯৫৭ সালে কর্ণাটকের কিয়াসনুর জঙ্গলে প্রথম ‘মাংকি ফিভার’-এর দেখা মেলে। সে বছর এমনই এক শীতের মৌসুমে কিয়াসনুর জঙ্গল সংলগ্ন আরালগোডু গ্রামের অনেকেই মাংকি ফিভারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যেহেতু কিয়াসনুর জঙ্গলে প্রথম এই জ্বরের সন্ধান মেলে, তাই এর নাম দেওয়া হয় ‘কিয়াসনুর ফরেস্ট ডিজিজ’। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘হেমাফিসোলিস স্পাইনিজেরা’ নামের এক মাকড়ে শরীরে মাংকি ফিভারের ভাইরাস জন্মায়। বাঁদরের শরীরে পরজীবী এই মাকড় বাসা বাঁধে। আর এই মাকড়ের কামড় থেকেই মাংকি ফিভারের ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এখন জেনে নেওয়া দরকার মাংকি ফিভারের লক্ষণ ও প্রভাব।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাংকি ফিভারের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের ৩-৮ দিনের মধ্যেই এই জ্বরের লক্ষণগুলো প্রকট হতে শুরু করে। শীত শীত ভাব, জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, শরীরের বিভিন্ন পেশিতে অসহ্য যন্ত্রণা, পেটের সমস্যা, বমি বমি ভাব, রক্তচাপ কমে যাওয়া, রক্তে লোহিত ও শ্বেত কণিকার পরিমাণ হ্রাস পাওয়া, প্লেটলেট কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা শুরু হয়। শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে নানা মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি দৃষ্টিশক্তিও দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

যারা জঙ্গলের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেন, তাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, পশু চিকিৎসকদের ক্ষেত্রেও মাংকি ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র: জি নিউজ

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি