ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নুসরাত হত্যা

জেল থেকেই নির্দেশ দেয় সিরাজ উদ দৌলা

প্রকাশিত : ১৫:৩৯, ১৩ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৫৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে অধ্যক্ষ সিরাজের নির্দেশেই। আর জেলে বসেই সে এই নির্দেশ দেয়। এই হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে এই তথ্য জানায় নুসরাত হত্যা মামলার আসামি নূর উদ্দিন।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই প্রধান বনোজ কুমার মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধ্যক্ষ সিরাজের মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে নূর উদ্দিন ও শামীমরা গত ৪ এপ্রিল স্মারক লিপি দেয়। ওইদিনই তারা জেলখানায় গিয়ে দেখা করে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে। সেখানে সিরাজ নূরকে জিজ্ঞেস করে, তোমরা আমার জন্য কি করেছ? এদিন সিরাজ নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশনা দেয়।

আর এই নির্দেশনার পরদিন ৫ এপ্রিল ওই মাদরাসার পশ্চিম হোস্টেলে পাঁচ-সাতজন মিলে পরিকল্পনা করে কিভাবে নুসরাতকে হত্যা করা হবে।

বনোজ কুমার বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের মামলা হওয়ায় আলেম সমাজকে হেয় করা হয়েছে- এই ধরনের যুক্তি দিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ জেলে থেকেই তার সাঙ্গপাঙ্গোদের নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন।’

এছাড়া, শাহাদাত দফায় দফায় নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়া ও ছিল নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার আরেকটি কারণ।

বনোজ কুমার মজুমদার বলেন, হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে নুর উদ্দিন। জবানবন্দিতে সে বলেছে, অপারেশনে বোরকা পড়া চারজনের মধ্যে দুই জন ছেলে আর বাকি দুইজন মেয়ে ছিল। তারা সবাই ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর শম্পা বা চম্পা নামের যে ছিল তাকেও গ্রেফতার করেছি আমরা।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি