জেলেরা নিজ দেশের সীমানায় মাছ ধরতে ভয় পান
প্রকাশিত : ০৯:৪৬, ১৫ এপ্রিল ২০১৭
টেকনাফের নাফ নদীতে, নিজ দেশের সীমানায় এখন মাছ ধরতে ভয় পান বাংলাদেশী জেলেরা। তাদের অভিযোগ, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও নেভাল পুলিশ জেলেদের হয়রানি করে। অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পাশাপাশি গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। বিজিবি বারবার প্রতিবাদ করলেও, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। আর বিষয়টিকে হালকাভাবে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। বিস্তারিত, মুহাম্মদ নূরন নবী’র রিপোর্টে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে সুবিশাল নাফ নদী। অদৃশ্য সীমান্ত রেখায়, অনুমানের ভিত্তিতে নিজ নিজ অংশে মাছ ধরেন দুই দেশের জেলেরা। যুগ যুগ ধরে এভাবে চললেও তেমন সমস্যা হয়নি। তবে, সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের নিয়ে জটিলতা হওয়ায়, নাফ নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন বাংলাদেশী জেলেরা।
এমনকি, বৈধ ১৯৮০ সালে দুই দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তিও ভঙ্গ করছে দেশটি।
এছাড়া, জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ জেলেদের চোরাকারবারীও সাজানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ অংশে বিজিবি যথেষ্ট ছাড় দিলেও, এখন অসহিষ্ণু আচরণ করছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও নেভাল পুলিশ। বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে থাকা চুক্তির পরিপন্থী বলছে বিজিবি।
বিষয়টি’র সমাধানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশী জেলেরা যাতে শূণ্যরেখায় না যায়, সেদিকে নজর রাখা হয় বলেও জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন