ঝিনাইদহ, চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জে পাটের বাজার দর কম
প্রকাশিত : ০৯:১৪, ২৯ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ০৯:১৪, ২৯ আগস্ট ২০১৬
ঝিনাইদহ, চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জে এবার পাট চাষে খরচের তুলনায় বাজার দর কম হওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ উঠবে কিনা তাই নিয়ে হতাশ তারা। বাজার দর কম থাকার কথা স্বীকার করে কৃষি কর্মকতারা বলছেন, সরকারীভাবে পাট কেনার উদ্যোগ নিলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন।
ঝিনাইদহে মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজ পাটের ক্ষেত। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে। প্রতিমণ পাট ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সঠিক দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।
সরকারীভাবে পাট ক্রয় কেন্দ্র খুলে নির্ধারিত মূল্যে পাট কেনা হলে কৃষকরা লাভবান হতেন বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা।
এদিকে চাঁদপুরে পাটের ফলন ভালো হলেও দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। গণ্ডা প্রতি ২৩’শ থেকে ২৪’শ টাকা খরচ করে উৎপাদিত পাটের দাম পাচ্ছেন ১৬’শ থেকে ১৭’শ টাকা। লাভ তো দূরের কথা কৃষি শ্রমিকদের মজুরী দিয়ে উৎপাদন খরচ পোষাতে পারবেন কিনা সেই দুঃশ্চিন্তায় কৃষক।
তবে সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পাট সংগ্রহ করলে কৃষকরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি মনের দাম ২২শ’ থেকে ২৩শ’ টাকা থাকলেও এখন কমে গেছে। শ্রমিকের মজুরী ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে লাভ থাকছে না জানালেন কৃষকেরা।
পাটের আবাদ বাড়াতে এবং সোনালী আঁশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ন্যায্যমূল্য দেয়ার দাবি কৃষকদের।
আরও পড়ুন