ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

‘টাকার জন্য অনেক বাজে বাজে কাজ করেছি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬, ৫ জুলাই ২০১৮

দিল্লির বাঙালি তিনি। ওখানকার স্কুল, কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। মামার বাড়ি কলকাতার গোলপার্কে। তাই বছরে দু’-এক বার এই শহরে আসেন। তবে বেশি সময়ের জন্য থাকেন না কলকাতায়। মজার বিষয় হচ্ছে বাংলা থেকে দূরে থেকেও ভাষা ভোলেননি অভিনেত্রী সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়।

মুম্বাইয়ে কাজ করছেন প্রায় ৩৫ বছর। বাংলায় সেভাবে কাজ করা হয়ণি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলা থেকে ডাক পাইনি। মুম্বাইয়ে টেলিভিশন, থিয়েটার, সিনেমার কাজ সব কিছু নিয়ে পাগল পাগল অবস্থা। তবে ‘মহাশয়’ নামে একটি বাংলা সিনেমা করেছিলাম। যেখানে মুনমুনদি (সেন) লিড আর আমি সেকেন্ড লিড। সঙ্গে তাপস পাল। তবে আমি বাংলায় কাজ করতে চাই।’

নতুন ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণা চলি লন্ডন’-এ তিনি বুয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন। মা-মরা কৃষ্ণা ও তার পরিবারকে ভালবাসা দিয়ে বেঁধে রেখেছেন গুলকান্দ বুয়া।

সুস্মিতা বলেন, ‘পানের মধ্যে যেমন গুলকান্দ থাকে, ততটাই মিষ্টি চরিত্রটা। সে যতটা ঠিক, ততটাই বেঠিক। যতটা মজার, ততটাই গম্ভীর।’

সুস্মিতা আরও বলেন, ‘আমার নেগেটিভ ইমেজটা কিন্তু খুব বলিষ্ঠ। ‘কিং আঙ্কল’ সিনেমাতে ‘শান্তি’র চরিত্রটা রীতিমতো ছোটদের মনে ভয় ধরিয়েছিল। আমার প্রথম ধারাবাহিক ‘তারা’য় চরিত্রটা নেগেটিভ ছিল। তখন আমি প্রেগনেন্ট। একটা দৃশ্যে ছোট বাচ্চাকে উপরের দিকে ছুড়তে হবে। কিছুতেই সেটা করতে পাচ্ছিলাম না। পরিচালক জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী হয়েছে। শটটা দেওয়ার পরে মন খুলে কেঁদেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘টাকার জন্য অনেক বাজে বাজে কাজ করেছি। মুম্বাইয়ে এত খরচ! তবে মনের মতো কাজও আছে অনেক।’

স্বামী রাজা বুন্দেলখন্ডের সঙ্গে গত তিন বছর ধরে খাজুরাহোয় একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছেন সুস্মিতা। দুই ছেলেই পড়াশোনায় ভালো।

অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি কিন্তু কখনও বসে থাকিনি। টাকার চিন্তা যে একেবারে নেই, সেটা নয়। নব্বইয়ের দশকের শেষে টেলিভিশনের জন্য অনেক ভালো কনটেন্ট প্রোডিউস করেছে আমার কোম্পানি। তবে এখন প্রযোজনার কথা ভাবা যেন হার্ট অ্যাটাকের শামিল।’
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি