টাঙ্গাইলে সংযোগ সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন ৫ ইউনিয়ন
প্রকাশিত : ১০:৫৭, ১০ জুলাই ২০২৪
টাঙ্গাইলে চারাবাড়ি ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার ভোরে সদর উপজেলার চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরীর নদীর উপর ব্রীজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসাী জানান, এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ব্রীজ পাড় হয়ে চলাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সন্তোষ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক।
এদিকে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, অটোভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করে থাকে এ সড়কে।
যানবাহন চালক হাসমত করিম ও শহিদুল বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই একটু একটু করে পানির নীচে ধ্বস নামে। আজকে ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারবো না।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ার বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এ ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রীজের পাশপাশের মাটি ধসে যায়। যেহেতু এই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক দ্রুতই চারাবাড়িঘাট ব্রীজের ঢালে ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ওখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগের মাধ্যম সেটিকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
এদিকে, আজ বুধবার ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে প্রবল স্রোতে যমুনা ও ঝিনাই নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলার বাসাইল উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামে শুরু হয়েছে ঝিনাই নদীর তীব্র ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনে তীরবর্তী এলাকার বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার ও ফসলী জমি, রাস্তা, কবরস্থান,মসজিদসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন