ঢাকা, বুধবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৪

টানা বর্ষণে ঘুমধুমের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধসের শঙ্কা

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:১৫, ১ আগস্ট ২০২৪

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২ শতাধিক পরিবার। এতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা

বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ঘুমধুম ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের নিম্না্ঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে এই এলাকার মানুষ। 

জানা গেছে, ইউপির ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিমকূল, ক্যাম্প পাড়া, ঘোনার পাড়া, হিন্দু পাড়া, বাজার পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের কোনার পাড়া, মধ্যম পাড়াসহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হওয়াতে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকটসহ প্রয়োজনীয় খাবার ব্যবস্থা। 

এদিকে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে পাহাড় ধসে পড়া মাটির সাথে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তায়। এর ফলে এবং ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ার যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পাহাড় ধসে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে তুমব্রু পশ্চিমকূল গলাছিড়া নামক স্থানের পাহাড়ের উপর বসবাসত নুরুল কবির, গোরামিয়া, বাজার পাড়ার কয়েকটি পরিবার।

স্থানীয়রা নুরুল কবির জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে পাহাড়ের একটি অংশ ধসে রাস্তার উপরে পড়ে এবং ২য় অংশটি বাড়ির বারান্দা বরাবরই  সকালের দিকে ধসে পড়াতে খুব বেশি আতঙ্কে দিন কাটছে। রাস্তাটি প্রশস্ত করার সময় পাহাড়টি খাড়া করে কর্তন করাতে আজকে এই দশা।

দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুল হক বলেন, রাস্তার দুই পাশে যদি টেকসই গাইডওয়াল দেওয়া হয় পরবর্তীতে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাচঁতে পারে আতঙ্কিত পরিবারগুলো।

ঘুমধুমের সিএনজি, মাহিন্দ্র ও টমটম ড্রাইভাররা জানিয়েছেন, বৃষ্টি ও পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হওয়াতে সারাদিন গাড়িচালাতে না পেরে তাদেরও চিন্তার শেষ নাই। 

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া, রাস্তা, দোকান প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে পাহাড় ধস হয়ে রাস্তাঘাটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে আছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া জানান, ইতিমধ্যে আমি প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজ খবর রাখছে। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ শাখায় কথা বলেছি। তাদের যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি