টানা বর্ষণে তলিয়ে যাচ্ছে ফসল, সাহায্য পাননি কৃষকেরা
প্রকাশিত : ০৯:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৭
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
দ্বিতীয় দফায় টানা বর্ষণে তলিয়ে যাচ্ছে নেত্রকোণার নতুন নতুন এলাকার বোরো ফসল। কুড়িগ্রামের রাজিবপুরের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নসহ আশপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। এদিকে ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হলেও এখনো সাহায্যে পাননি কৃষকেরা।
গেলো কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নেত্রকোনার আটপাড়া, কেন্দুয়া ও মদন উপজেলার বাধ ভেঙ্গে জালিয়ার হাওর, শুনই হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল নতুন করে পানিতে তলিয়ে গেছে।
মানবেতর জীবন কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের।
এদিকে হাওরে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে ত্রানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরের মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের নয়ারচর, নেওয়াজি, শংকরপুর, হাজিপাড়া, ফকিরপাড়া ও ব্যাপারীপাড়াসহ প্রায় ২৫টি গ্রামের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শতশত একর ফসলী জমি।
গেলো কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে লক্ষ্মীপুর সদরের বীজতলা সহ নিচু এলাকার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল। শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে নানা জাতের আমের মুকুল।
এদিকে ভৈরবের স্থানীয়ভাবে কৃষি অফিস ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করলেও অনেকেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। সাহায্যে না পেয়ে ক্ষুব্ধ কৃষক।
একই অবস্থা কিশোরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তার পাশাপাশি কৃষি ঋণ মওকুফ, নতুন করে ঋণ প্রদান এবং হাওরে অবাধে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়ার দাবি তাদের।
আরও পড়ুন