টানেল নির্মাণ বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:১৬, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ১০:১৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৩
কাপ্তাই লেকের ওপর বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক মাছ প্রজনন কেন্দ্র হালদা ও কর্ণফুলী নদী রক্ষায় সেতু না করার পরামর্শ ছিল বিশেষজ্ঞদের। এই কারণেই ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র সাড়ে চার বছরে নদীর তলদেশে এশিয়ার প্রথম টানেল তৈরি করে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় অর্ধশতাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলেও চীনের সাংহাই মহানগরের মডেল অনুসরণে টানেল তৈরির পরিকল্পনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালে এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন তিনি।
সাংহাইয়ে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ যেমন, তেমনি কর্ণফুলীর দুই পাড়ে একই মডেল বাস্তবায়নের সুবিধা দেবে এই টানেল। যাতায়াত সহজ হওয়ায় নাগরিক সুবিধা বাড়বে দুই পাড়ে। আনোয়ারা এলাকা রূপ নেবে শহরে। পাশাপাশি কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমবে ৩৫ কিলোমিটার।
দেশের বৃহত্তম সরকারি ইপিজেড, মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চলের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে এই টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সময় ও খরচ বাঁচাতে মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরে বিশাল আকৃতির মাদারভেসেল থেকে পণ্য খালাসের পর দেশ-বিদেশের গন্তব্যে পৌঁছাতেও যোগসূত্রের কাজ করবে এই টানেল।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “আমদানি-রপ্তানির সময় কমে যাবে, এটিই আমাদের দেশের অর্থনীতির জিডিপিতে অনেক অবদান রাখবে।”
চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের সহায়তায় এই টানেল তৈরিতে সময় লেগেছে সাড়ে চার বছরের মতো। নদী খরস্রোতা হওয়ায় মাঝে নির্মাণকাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু সব কিছুই এখন অতীত।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ নদীর নিচে টানেল বানিয়ে প্রথম চমক সৃষ্টি করলো। বিশ্বের অর্থনৈতিক বাজারে বাংলাদেশকে নতুনভাবে ‘ব্র্যান্ডিং’ করার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রাও যোগ করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রসিদ বলেন, “সেফলি এবং সেক্যুরিটলি চালানোর জন্য আমাদের অনেকগুলো ইলেক্টরিক্যাল কাজ করতে হয়েছে।”
ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী চট্টগ্রাম এই টানেলের মাধ্যমে অর্থনীতির আরেক জগতে প্রবেশ করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ