অল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফা
টার্কি ঘিরে নতুন সম্ভাবনা
প্রকাশিত : ১৬:৫৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৫, ৭ জানুয়ারি ২০১৮
উৎপাদন ব্যয় কম এবং অল্প বিনিয়োগে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার কারণে ইতোমধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে টার্কি লালন পালন। গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বাড়িতেই টার্কির খামার করে সাবলম্বী হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা আগামী কয়েক বছরেই দেশে ঘটবে টার্কি বিপ্লব। এতে বেকারত্ব দূর এবং দারিদ্র বিমোচন হওয়ার পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় জোরালো অবস্থান করে নেবে সুস্বাধু টার্কির মাংস। টার্কি ঘিরে সম্ভাবনার নবদিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
টার্কি এক সময় বন্য পাখি ছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে টার্কি গৃহে লালন-পালন হচ্ছে। গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাড়িতে প্রথম টার্কি পালন শুরু হয় উত্তর আমেরিকায়। পরে ১৫৫০ সালে ইউলিয়াম স্টিকলেন্ট নামে এক ইংরেজ নাবিক প্রথম তুরস্ক থেকে এ মুরগী মধ্য ইউরোপে নিয়ে আসেন। ফলে তুরস্কের নাম অনুসারে এ পাখিটির নামকরণ করা হয় টার্কি। স্বল্পসময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে টার্কির লালন পালন। গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা টার্কির খামার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পুঁজির দ্বিগুন তিনগুন লাভ গুনছে বছরেই।
টার্কি মুরগী মাত্র ৬ মাসে ডিম দেওয়া শুরু করে। এক বছরেই একটি টার্কির ওজন হয় ১০-১২ কেজি। পুরুষ টার্কি ওজন ১৪ কেজি পর্যন্ত হয়। এ হিসাবে একটি ছাগল থেকে যে পরিমাণ মাংস পাওয়া যায় তার থেকেও বেশি মাংস পা্ওয়া যায় একটি টার্কি থেকে। টার্কি লালন পালনে এক বছরেই পুঁজির দুই-তিন গুণ মুনাফা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট অথর্র্নীতিবিদ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টার্কি পালনে স্বল্প ব্যয়, স্বল্প পরিশ্রম ও স্বল্প সময়ে অধিক আয় নিশ্চিত করা যায়। টার্কির মাংস স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। ফলে বাজারে এর চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে অবদান রাখার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে টার্কি।
দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠছে সু-স্বাদু টার্কি মুরগীর মাংস। গরু, সাধারণ মুরগী এবং খাসির তুলনায় টার্কির মাংসে প্রোটিন বেশি এবং কোলেষ্টেরলমুক্ত। স্বাস্থ্যসম্মত এবং সুস্বাদু হ্ওয়ায় ধীরে ধীরে টার্কির মাংস আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টার্কি মাংস বেশ জনপ্রিয় ও দামী খাদ্য। এরাববন রেড প্রজাতির এক জোড়া টার্কির দাম ৬০-৭০ হাজার টাকা। সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশেও এ প্রজাতির টার্কি লালন পালন শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়।
ঢাকার সাভার, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নওগাঁ, খুলনা, চট্টগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট ছোট খামারের পাশাপাশি বড় খামারগুলোতে সফলভাবে টার্কি লালন পালন করছেন খামারিরা। খামারিদের সফলতা দেখে নতুন নতুন অনেক উদ্যোক্তা এ নিয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এতে বহু লোকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, একটি টার্কি তাদের জীবনকালে চার বছর পর্যন্ত ডিম দেয়। ৬ মাস থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে একটি টার্কি তিন মাস টানা ডিম দেয়। তিন মাস পর একদিন পরপর ডিম দেয় বিশেষ জাতের এ পাখি। বছরে ডিম পা্ওয়া যায় ২০০টি। চার বছরে দেয় ৮০০ ডিম। বর্তমানে টার্কির একটি ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম থেকে বের হ্ওয়ার পরই টার্কির বাচ্চা বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। ২ সপ্তাহের বাচ্চার দাম ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। দুই মাসে প্রতিটি টার্কি বিক্রি করা যায় ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকায়। ৩ মাস বয়সী টার্কি বিক্রি করা যায় সাড়ে ৩ হাজার টাকায়। ডিম দেওয়ার সময় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় প্রতিটি টার্কি বিক্রি হয়।
খামারিদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, টার্কির জন্য কৃত্রিম খাবারের প্রয়োজন নেই। এ কারণে টার্কির খাবারের ব্যয়ও খুবই কম। সাধারণ প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা এবং শাক-সবজি টার্কির পছন্দের খাবার। এছাড়া দানাদার খাবার রাখতে হবে। রোজ একটি টার্কির দৈনিক খাবার খায় ১৫০ গ্রাম।
খামারিরা জানান, দেশীয় মুরগির মতো ঘরেও টার্কি লালন পালন করা যায়। যে কেউ এক জোড়া টার্কি কিনে লালন পালন করতে পারেন। দেশী মুরগির মাধ্যমেও টার্কির ডিম ফুটানো যায়। পোল্ট্রি মুরগির মতো কৃত্রিম খাবার প্রয়োজন হয় না টার্কি লালন পালন। তাই টার্কি লালন পালনে ব্যয় কম বিধায় মুনাফা বেশি।
বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ে টার্কি চাষ ছড়িয়ে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। সরকারি এ প্রতিষ্ঠান সারাদেশে শতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাকে (এনজিও) সঙ্গে নিয়ে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।
এর মাধ্যমে বেকার যুবক ও দারিদ্রদের টার্কি চাষে ঋণ বিতরণসহ টার্কির বাচ্চা সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভেটেনারি ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পিকেএসএফের সহায়তার চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, জয়পুরহাটসহ মোট ১৭ জেলায় টার্কি উৎপাদন ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও কৃষকদের টার্কি লালন পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান পিকেএসএফ কর্মকর্র্তারা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দহতপুরে ইতোমধ্যে দুই-শতাধিক পরিবারে টার্কি চাষ শুরু হয়েছে। এ কারণে টার্কি পল্লী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দহতপুর।
দহতপুরের সফল খামারি মোহাম্মদ আলম ১৪ মাস আগে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০টি টার্কি দিয়ে খামার শুরু করেন। তিনি বর্তমানে নিয়মিত ডিম ও টার্কি মুরগী বিক্রি করছেন। এখন তার খামারে ১৫০টি টার্কি রয়েছে। প্রতি মাসে তার খামার থেকে গড়ে ৬০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আলমের মতো টার্কি পল্লীর খামারি শোভা রাণী দাস, এনামুল হক সুবজ, আবু মুছা, মোহাম্মদ আইয়ূব টার্কির খামার করে সফল হয়েছেন। তাদের সংসারের অনটন ঘুচেছে।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পাইকসা ও হানিপুর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক টার্কি খামার গড়ে উঠেছে। পোল্ট্রি খামারে লোকসান এবং স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার কারণে এসব গ্রামের মানুষ টার্কি চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে জানান এলাকার খামারিরা।
হানিপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে তিনি ভালো ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। এসময় তিনি টার্কি সম্পর্কে জানতে পারেন। এক বছর আগে গাজীপুর থেকে ১০০ টার্কি বাচ্চা নিয়ে আসেন। এ বাচ্চাগুলো তিন মাস লালন পালন করে বিক্রি করে ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন তিনি। এরপর টার্কি চাষে তিনি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেন। বিভিন্ন বয়সের ২০০ বাচ্চা দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করেন। এরইমধ্যে তার ছোট ভাই কামরুজ্জামানও বিদেশ থেকে ফিরে এলে, তাকে তিনি টার্কি চাষে উৎসাহ দেন। কামরুজ্জামান শুরু করেন ১০০ বাচ্চা দিয়ে। দুই ভাইয়ের উৎসাহ দেখে তাদের আরেক ছোট ভাই হারুনুর রশিদও সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে হারুন ১০০ বাচ্চা দিয়ে টার্কি খামার গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তিন ভাই টার্কি খামার করে সাবলম্বী হয়েছেন।
পলাশ উপজেলার পাইকসা গ্রামের আবুল হাসেম জানান, পোল্ট্রি মুরগির খামারের লোকসান গুনতে গুনতে দুই বছর আগে তিনি টার্কি লালন পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ২০০ টার্কি রয়েছে। এ খামার থেকে প্রতি মাসে লাখের বেশি টাকা আয় হচ্ছে। টার্কির বিপনন বিষয়ে তিনি জানান, যারা টার্কি পালনে আগ্রহী হচ্ছে তারা আমাদের কাছ থেকে ডিম ও বাচ্চা সংগ্রহ করছে। অন্যদিকে মাংসের জন্য হোটেল ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে টার্কি নিয়ে যান।
এনামুল হক নামে পাঁচবিবির একজন কৃষক জানান, দেশীয় মুরগীর মতো করে মাত্র ৬টি টার্কি পালন করছেন তিনি। এ থেকে প্রতি মাসে তার ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
আরেক সফল খামারি ফেনীর পরশুরামের বাসপাদুয়া গ্রামের সফল টার্কি খামারি আজমীর হোসেন জুয়েল জানান, ইন্টারনেট থেকে তিনি টার্কি বিষয়ে জানতে পারেন। এরপর এক বন্ধুর মাধ্যমে আড়াই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ দিন বয়সের ২০০ বাচ্চা আমদানি করেন। ওই সময় প্রতিটি বাচ্চা আনতে তার ব্যয় হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এখন তার খামারে ৫ শতাধিক টার্কি রয়েছে।
টার্কির ডিম থেকে বাচ্চা পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, স্থানীয় মুরগির মাধ্যমে টার্কির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো যায়। যারা বাড়িতে টার্কি পালন করবেন তারা সহজে এটি করতে পারেন। তবে খামার পর্যায়ে বাচ্চা ফুটাতে ইনকিউবেটরের প্রয়োজন। মাত্র ১৫ হাজার টাকায় দেশে তৈরি ইনকিউবেটর পাওয়া যাচ্ছে।
টার্কির লালন পালন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টরা জানান, মাচার ওপর বা বেড়ার ঘরে বাণিজ্যিকভাবে টার্কি লালন পালন হচ্ছে। একটি টার্কি মুরগীর জন্য ৪ থেকে ৫ বর্গফুট জায়গা রাখতে হবে। টার্কি রাখার ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নয়তো রোগ জীবাণুর আশঙ্কা থেকে যাবে। বাচ্চা ঘরে আনার আগে জীবাণুনাশক পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়া টার্কির বাচ্চাকে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে ৬ষ্ঠ সপ্তাহ থেকে পর্যাপ্ত আলোর (বৈদ্যুতিক বাতি) ব্যবস্থা করতে হবে। ডিম থেকে বের হয়ে আসার প্রথম সপ্তাহে টার্কি বাচ্চাকে ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রাখতে হয়। পরে ৬ষ্ঠ সপ্তাহ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে ভেটানারি চিকিৎসক ড. আহসান হাবিব শামীম বলেন, টার্কির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি ফলে চিকিৎসা খরচও কম। তবে শুরু থেকে টার্কি মুরগীকে চারটি ধাপে টিকা দিতে হবে। প্রথমত একদিনের বাচ্চাকে রাণীক্ষেতের টিকা দিতে হবে। পঞ্চম সপ্তাহের বাচ্চাকে দিতে হবে বসন্ত রোগের টিকা। ৬ষ্ঠ সপ্তাহে রাণীক্ষেতের আরেকটি টিকা দিতে হবে। কলেরার টিকা দিতে হবে অষ্টম থেকে দশম সপ্তাহে।এ চারটি টিকা ব্যবহার করলে খামারিকে অন্য কোন ওষুদের জন্য বাড়তি ব্যয় করতে হবে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ২৪-২৫ভাগ। অন্য প্রজাতির মুরগির মাংসে প্রোটিন ২২ ভাগ এবং গরুর মাংসে ২০ ভাগ। অন্যদিকে খাসির মাংসে কোলেষ্টেরল রয়েছে শতকরা ২৩ ভাগ। গরুর মাংসে শতকরা ২৪ ভাগ। মুরগির মাংসে ৫ ভাগ। টার্কি মাংসে কোলেষ্টেরল শূন্য ভাগ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফিস রেজা অনিক বলেন, টার্কি চাষ এখণ সৌখিন পর্যায়ে থাকলেও এটি সম্প্রসারণ হচ্ছে। তবে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণে এর কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। টার্কি চাষ নিয়ে সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। টার্কি মাংস আরও জনপ্রিয় করতে সরকারি–বেসরকারি পযায়ে নানা ধরনের কার্যক্রম হাত নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সফলভাবে টার্কি বিষয়ে সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরকে আরও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। একইসঙ্গে জনবল ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
পিকেএসএফের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র্য দরকার। টার্কি চাষ হতে পারে এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দেশে টার্কি চাষ বিকাশের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পিকেএসএফ তার সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে টার্কি চাষে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দিচ্ছে। তবে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিতে হবে।
/ এআর /