টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২২:১২, ২৯ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৩০, ১ নভেম্বর ২০১৭
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। পচেফস্ট্রমে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের হারটাও অনেক বড়, ৮৩ রানের।
ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের সামনে ২২৫ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে একশ রান না তুলতেই ৭ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ২৩ রানে কোনোমতে ১৪১ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে টাইগাররা।
ইনিংসের শুরুতেই আউট হয়ে ফিরেন ইমরুল কায়েস আর সাকিব আল হাসান। ইমরুল ৬ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন। মাত্র ২ রান করে জেপি ডুমিনির বলে বোল্ড হন দলপতি সাকিব আল হাসান।
এরপর মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক করেন ২ রান। আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির দোঁড়গোড়ায়ও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আরও একবার আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয় এই ওপেনারকে।
২৭ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে অ্যারন ফ্যাঙ্গিসোর বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন সৌম্য। এই ইনিংসে ৬টি চার আর একটি ছক্কা মারেন তিনি। সাব্বির রহমান ৫ আর লিটন দাস করেন ৯ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০ বলে ২৪ রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন।
তবে প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ডেভিড মিলার ঝড়ে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের শেষটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। ১৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ১৩৪/৪। শেষ ৫ ওভারে প্রোটিয়ারা রান তুলেছে ‘সুপারসনিক’ গতিতে—৩০ বলে এসেছে ৯০ রান! সব মিলিয়ে ৪ উইকেটে ২২৪ রান তুলে জয়ের প্রাথমিক কাজটা ব্যাটিংয়েই সেরে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সাইফুদ্দিনের করা ১৯তম ওভারে মিলার একাই নিয়েছেন ৩১ রান। এর মধ্যে ছক্কা মেরেছেন টানা পাঁচ বলে! শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে অপরাজিত ছিলেন মিলার ‘দ্য কিলার’ (৩৬ বলে ১০১*)। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটাই দ্রুততম সেঞ্চুরি। মিলারের আগে ৫১ বলে ৮৫ রান করে প্রোটিয়াদের বড় সংগ্রহের প্রাথমিক ভিত্তিটা গড়ে দেন হাশিম আমলা।
১০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের স্কোর ছিল ৭৮/৩। শেষ ১০ ওভারে ১৪৬ রান তুলেছে তাঁরা। এর মধ্যে ১০ম ওভারের শেষ বলে ব্যাটিংয়ে নামা মিলার একাই করেছেন ১০১ রান। ৯ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে খুনে ইনিংসটি সাজান তিনি। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন তাসকিন ও সাইফুদ্দিন। ৩ ওভারে ৪১ রান দিয়েছেন তাসকিন। সাইফুদ্দিন ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৫৩ রান দেন।
আরকে/ডব্লিউএন