টিকফার আদলে সিপা চুক্তির প্রস্তাব ভারতের
প্রকাশিত : ১২:৪৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট’র (টিকফার) আদলে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের প্রস্তাবিত এই চুক্তির নাম ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিপা)’। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ ধরনের চুক্তি করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে ভারত। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুক্তির খসড়া চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকের শেষ দিন ছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু এবং ভারতের পক্ষে দেশটির বাণিজ্য সচিব রিতা তিওতিয়া নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে দুই দেশের বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছে থেকে ধারণাপত্র চেয়েছে। এছাড়া পেট্রাপোল থেকে বেনাপোলে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। জবাবে বাংলাদেশ বেনাপোল-পেট্রাপোলে রেল সংযোগ চালুর বিষয়টিতে রেল মন্ত্রণালয় জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারতকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শফিকুল ইসলাম জানান, দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু ইস্যু ছিল গুরুত্বপূণ। এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের বিষয়ে একটি চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করায় আমরা ভারতের কাছ থেকে এ বিষয়ে খসড়া চেয়েছি। খসড়া পাওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বাংলাদেশি কিছু পণ্যের ওপর আরোপিত এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এতে ভারত জানায়, বিষয়টি তাদের আদালতের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। দুই দিনের এই বৈঠকে আরও যেসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত স্থল শুল্ক বন্দরসমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বর্ডার হাটের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও নতুন বর্ডার হাট স্থাপন, বাংলাদেশের বিএসটিআইর সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি প্রদান, পণ্য আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত বাণিজ্য বিরোধ ও জটিলতা দূর করা, স্থল শুল্ক বন্দরের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক পণ্য আমদানির সুযোগ প্রদান এবং সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ করা।
একে// এআর
আরও পড়ুন