ট্রাম্প-পুতিনের প্রথম বৈঠক
প্রকাশিত : ১৩:০৮, ৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩৮, ৮ জুলাই ২০১৭
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মত এই বৈঠক হয়।
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠককে নিজের জন্য ‘সম্মানের’ বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার সকালে সম্মেলনের প্রথম দিনেই দুই নেতা মধ্যে করমর্দনের মাধ্যমে সাক্ষাৎ শুরু হয়। এরপর তাদের মধ্যে আরও দীর্ঘ আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, দুই নেতার মধ্যে ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের বৈঠক হয়েছে, যা হওয়ার কথা ছিল মাত্র ৩০ বা ৪০ মিনিট।
বৈঠকে বসার আগেই পুতিন জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত। দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে একাধিক বৈঠক হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে জানিয়ে পুতিন বলেন, ফোনালাপ করাটা যথেষ্ট নয়, মুখোমুখি বৈঠক করাই ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, ইউক্রেন, সিরিয়া সংকট নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। কিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে তাদের কথা হয়। আলোচনায় উঠে আসে সাইবার নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও। এসময় দুই দেশের সম্পর্কে যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে, তা সারতে চান বলে জানান তারা।
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার শুরুতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খুবই ভালো আলোচনা করেছি। এখনও আমরা আলোচনা করব এবং সেটি চলতে থাকবে। আমরা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং সবার জন্যই খুবই ইতিবাচক কিছু ঘটার অপেক্ষায় আছি। পুতিনও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে ইতিবাচক ফলের প্রত্যাশা জানান।
তবে জি-২০ সম্মেলন শুরুর আগে থেকেই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে পরষ্পর বিরোধী মতোবিরোধ প্রকাশ ঘটে।
জার্মানি সফরের আগে ট্রাম্প ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ করেছিলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবেই ট্রাম্পের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগ অস্বীকার করে।
জার্মানির ‘হান্ডেসব্লাট’ পত্রিকায় জি-২০ সম্মেলনে নিজ আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করে পুতিন রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের বিরুদ্ধে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সিরিয়া নিয়েও দু’পক্ষের রয়েছে ভিন্নতা। সিরিয়া যুদ্ধে ওয়াশিংটন কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করে। অপরদিকে মস্কো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান মিত্র।
অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছেন ট্রাম্প। তাছাড়া ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ আছে মার্কিন গোয়েন্দাদের এই বিবৃতি বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প।
//আর//এআর
আরও পড়ুন