ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ, ওষুধের দাম কমাতে নতুন পদক্ষেপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২২, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার লক্ষ্য হলো ওষুধের চড়া দাম কমানো। 

মঙ্গলবার ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত আদেশে রাজ্যগুলোকে বিদেশ থেকে তুলনামূলক কম দামে ওষুধ আমদানির আরও সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসক্রিপশন ওষুধের দাম সবচেয়ে বেশি, যার ফলে অনেক নাগরিক বীমার উচ্চ প্রিমিয়াম দেওয়া সত্ত্বেও নিজের পকেট থেকে বড় অংকের অর্থ খরচ করতে বাধ্য হন।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, 'এই আদেশ বয়স্ক ও নিম্নআয়ের নাগরিকদের জন্য, যারা ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ওষুধের ওপর নির্ভরশীল, তাদের বাস্তব সহায়তা দেবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এটি প্রেসক্রিপশন ওষুধের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে যাতে রোগী ও সরকারকে যে দাম দিতে হচ্ছে তা যেন ওষুধের প্রকৃত মূল্যমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, শুধু সরকারের অর্থপ্রদান ব্যবস্থার গোঁজামিলের কারণে নয়।'

এই আদেশের মাধ্যমে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে (এফডিএ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন আরও বেশি রাজ্যকে কম দামে ওষুধ সরবরাহকারী দেশগুলো থেকে সরাসরি আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের প্রশাসন গত বছর ফ্লোরিডাকে কানাডা থেকে ওষুধ আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল, তবে অন্য কোনো রাজ্য তখন সে সুযোগ পায়নি।

এই আদেশ বাইডেন প্রশাসনের সময় পাস হওয়া ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট (আইআরএ)-এর কিছু বিষয়েও পরিবর্তন এনেছে। ওই আইনের আওতায় প্রথমবারের মতো সিনিয়র নাগরিকদের জন্য মেডিকেয়ার ওষুধের দাম নিয়ে আলোচনা করতে পারত।

নতুন পরিবর্তনের লক্ষ্য হলো মুখে খাওয়ার ওষুধ (পিল) এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য ওষুধের দাম নির্ধারণের নীতিতে থাকা পার্থক্য দূর করা। সমালোচকরা মনে করেন, এই বৈষম্য মুখে খাওয়ার ওষুধের ক্ষেত্রে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আইআরএ অনুযায়ী, মুখে খাওয়ার ‘স্মল মলিকিউল’ ওষুধ যেমন আইবুপ্রোফেনের দাম এফডিএ অনুমোদনের ৯ বছর পর আলোচনার আওতায় আনা যেত।

অন্যদিকে, জিন-ভিত্তিক থেরাপি ও হরমোন নিয়ন্ত্রকের মতো ‘লার্জ মলিকিউল’ ওষুধ আলোচনার আওতায় আসত ১৩ বছর পর।

তবে নতুন আদেশে এই ব্যবধান কীভাবে দূর করা হবে তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি।

এছাড়া আদেশে ‘মোস্ট ফেবারড নেশন’ নীতি ব্যবহার করা হয়নি, যার আওতায় ওষুধ কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বনিম্ন দাম দিতে বাধ্য করা হতো।

বাইডেন প্রশাসনের আইআরএ সংস্কারের ফলে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছিল। দপ্তর ছাড়ার কয়েকদিন আগে বাইডেন আরও ১৫টি ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন, যেগুলোর দাম কমাতে ২০২৭ সাল থেকে সরকারের পক্ষে আলোচনা শুরু হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি