ট্রাম্পের শুল্ক থেকে অব্যাহতি পেল স্মার্টফোন-কম্পিউটার
প্রকাশিত : ১১:৪৩, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মোবাইল-কম্পিউটারকে নয়া শুল্কনীতির আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। চীন থেকে এসব পণ্য আমদানিতে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আমেরিকার শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তরের নতুন গাইডলাইনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল এক নোটিশে বলেছে, বেশিরভাগ দেশের ওপর ট্রাম্প যে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই শুল্ক এবং চীনের ওপর আরোপিত উচ্চ হারের সম্পূরক শুল্কের আওতার বাইরে থাকবে এসব পণ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তরের নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের ওপর নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে না।
এ সিদ্ধান্তকে চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্কের প্রথম উল্লেখযোগ্য ছাড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। একজন বাণিজ্য বিশ্লেষক একে ‘গেইম-চেঞ্জার পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শনিবার রাতে মিয়ামি সফরের সময় ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে তিনি ছাড়ের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাবেন।
নতুন শুল্কনীতির কারণে বিভিন্ন গ্যাজেটের দাম আকাশচুম্বী হতে পারে বলে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো উদ্বেগ প্রকাশের পর এই পদক্ষেপ নিল ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ এসব গ্যাজেটের বেশিরভাগই তৈরি হয় চীনে।
কয়েক দিন আগেই আমেরিকার বাজারে চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্প ১৪৫ শতাংশ চাপিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ‘অ্যাপল’-এর আইফোন এবং অন্য পণ্যগুলোর বেশিরভাগই উৎপাদিত হয় চীনে। সে ক্ষেত্রে চীনা পণ্যে চড়া হারে শুল্কের কারণে আমেরিকার বাজারে ‘অ্যাপল’-এর পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে মোবাইল এবং কম্পিউটারকে আমদানি শুল্কের নয়া নীতি থেকে বাদ দিলো ট্রাম্প প্রশাসন।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের প্রযুক্তি গবেষণার বৈশ্বিক প্রধান ড্যান আইভস এক্স পোস্টে বলেছেন, প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য শুল্ক ছাড় হচ্ছে স্বপ্নের মত। চীনা শুল্কের ক্ষেত্রে স্মার্টফোন, চিপ বাদ দেওয়া একটি গেইম-চেঞ্জার পরিস্থিতি।
অ্যাপল, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানি এবং বিশাল প্রযুক্তি খাত এই সপ্তাহান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, আইফোনের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে গত বছর অ্যাপলের অর্ধেকের বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করা অ্যাপলের ৮০ শতাংশ আইফোন চীনে তৈরি, বাকি ২০ শতাংশ তৈরি ভারতে।
এএইচ
আরও পড়ুন