ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর গাজা নিয়ে ‘সুর নরম’ করেছে ইসরায়েল
প্রকাশিত : ১৮:১৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় চলমান হামলা ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে। ইসরায়েল চাইছিল ১১ জন জীবিত জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি, কিন্তু হামাস রাজি ছিল ৫ জন জিম্মি ছাড়তে।
এই টানাপোড়েনের মধ্যে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরই কিছুটা নমনীয় হয় ইসরায়েল।
টাইমস অব ইসরায়েলকে দেওয়া তথ্যে দুইজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখন আগের মতো ১১ জন নয়, একটু কম সংখ্যক জিম্মি মুক্তির শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে।
তবে ইসরায়েল চায়, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই সব জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। হামাস বলছে, তারা ধাপে ধাপে জিম্মি ছাড়তে চায়।
এছাড়া ইসরায়েলের দাবি—প্রতি জিম্মির বদলে কম সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দি ছাড়তে হবে। এমনকি যারা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত, তাদের ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে চায় না তারা।
তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হলে ইসরায়েল গাজার ওপর থেকে সামরিক অবরোধ তুলে নেবে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেবে না বলেও জানিয়েছে।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে হামাসের সিদ্ধান্তের ওপর। মিসরের রাজধানী কায়রোতে আজ রাতে হামাস নেতারা বৈঠকে বসবেন এবং ইসরায়েলের প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতি শুরু হলে হামাসের সঙ্গে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করা হবে বলেও প্রস্তাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে, শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবেন হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া। তার সঙ্গে থাকবেন তার অন্য প্রতিনিধিরা। মিসর খলিল আল-হায়ার কাছে ইসরায়েলি প্রস্তাবটি পৌঁছে দেবে।
সংশ্লিষ্ট ওই দুইজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস দখলদার ইসরায়েলের বেশিরভাগ দাবি মানবে না হয়ত। এ কারণে খুব শিগগিরই যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এসএস//
আরও পড়ুন