ট্রাম্পের সামনে ইলন মাস্ক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও’র বাগবিতণ্ডা
প্রকাশিত : ১১:০৭, ৮ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪০, ৮ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনেই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) হোয়াইট হাউসে এক ক্যাবিনেট বৈঠকে তাদের মধ্যে কথার লড়াই হয়েছে। খবর এবিসি নিউজ ও রয়টার্সের।
এবিসি নিউজ জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই অনেকটা পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন, তারা মাস্ক ও রুবিওর বিতর্কে যোগ দেননি।
মাস্ক ও রুবিওর দ্বন্দ্বের খবর প্রথম প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে- ইলন মাস্কের সঙ্গে পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি ও ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডগ কলিন্সের সঙ্গেও উত্তেজনা রয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধের বাইরেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো- মাস্ক ও তার নেতৃত্বে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত।
এই সূত্রের বরাতে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, মাস্ক রুবিওর প্রতি অভিযোগ জানান যে তিনি তার বিভাগের কাউকে ছাঁটাই করেননি। এর জবাবে রুবিও বলেন, এই অভিযোগ সত্যি নয়।
রুবিও বলেন, ‘১৫০০ জন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। মাস্ক কি চান যে, তিনি তাদের আবার নিয়োগ দিয়ে পরে মাস্ক নিজেই তাদের ছাঁটাই করবেন?
উত্তরে মাস্ক রুবিওকে ‘টিভিতে ভালো’ বলে কটাক্ষ করেন, যার স্পষ্ট অর্থ হলো- তিনি অন্য কোনো কাজের জন্য ততটা দক্ষ নন।
এ সময় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ট্রাম্প এবং রুবিওকে বলেন, সে (মাস্ক) ভালো কাজ করছে।
মাস্ক-রুবিওর দ্বন্দ্বের বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
তবে মাস্ক-রুবিওর মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, তাদের কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি। আমি সেখানে ছিলাম। আপনারই ঝামেলা তৈরি করেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন মহাকাশ প্রযুক্তি কোম্পানি স্পেসএক্স ও বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা টেসলার প্রধান নির্বাহী মাস্ক এখন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর। প্রেসিডেন্টের আদেশে তিনিই সরকারি ব্যয় ও অপচয় কমানোর উদ্দেশ্যে বানানো ডিওজিই’র কার্যক্রম দেখভাল করছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর থেকে এ পর্যন্ত মাস্কের এই ডিওজিই ফেডারেল সরকারের অনেক দপ্তর বন্ধ করে দিয়েছে, অনেক দপ্তরের বাজেট কমিয়েছে, ছাঁটাই করেছে হাজার হাজার কর্মীকে।
এএইচ
আরও পড়ুন