ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, ভাগনেই শেষ করে মামার পুরো পরিবার
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস বাবা-মা এবং মেয়ে হত্যায় জড়িত একমাত্র আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলা দায়েরের ৮ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক ভাগনে রাজিব কুমার ভৌমিক (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘাতক রাজিব কুমার ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের মৃত বিশ্বনাথের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড এবং হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে তার দেখানো পুকুর থেকে।
মামা বিকাশ সরকারের সাথে ঘাতক ভাগ্নের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রাজিবের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, মামা বিকাশ যৌথ ব্যবসার জন্য তার ভাগ্নে রাজিব কুমারকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন। ব্যবসা চলমান থাকা অবস্থায় ভাগিনা মামাকে লভ্যাংশসহ ২৬ লাখ টাকা দেয়। পরে বিকাশ তার ভাগিনা রাজিবের কাছে অতিরিক্ত ৩৫ লাখ টাকা দাবি করেন। ওই টাকারর জন্য চাপ দেয়ায় মামা-ভাগ্নের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মামাসহ পুরো পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভাগনে রাজিব।
২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মামাকে ফোন করে রাজিব বাকি টাকা দিতে বাসায় আসার কথা বললে তার মামীর কাছে দিতে বলেন বিকাশ। তখন মামী সন্ধ্যাকালীন পূজা শেষ করে কফি আনতে দোকানে গেলে রাজিব মামাতো বোনের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর মামী ঘরে ঢোকার সাথে সাথে তাকেও লোহার রড় দিয়ে আঘাত করলে সেও মাটিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যার পর মামা বিকাশ বাসায় ঢুকলে তার মাথায়ও আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় রাজিব।
পরে তিনজনকে এক ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে ঘরের বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যায় রাজিব।
এরপর লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত নিহতের মোবাইলে ফোন করলে ফোন রিসিভ হয়নি এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে।
পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘাতক রাজিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এএইচ
আরও পড়ুন