‘ট্রেডমিল’ এড়িয়ে চলবেন যারা
প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ১২ মার্চ ২০২২
দৈনিক শরীরচর্চা করেন এমন মানুষ অনেক রয়েছেন। আবার অনেকে সারাদিনের ব্যস্ততা’র কারণে সময় তেমন পায় না। অনেকে আবার বাড়িতেই যন্ত্রের সাহায্যে শরীরচর্চা করে থাকেন। শরীরচর্চার জনপ্রিয় একটি সরঞ্জাম ‘ট্রেডমিল’। আগে জিমে দেখা গেলেও এখন অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের বাড়িতেও এটি দেখা যায়। ‘ট্রেডমিল’ শরীরচর্চাকে অনেক সহজ করে দেয়। এর রয়েছে অনেক ভালো দিক। তবে কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ‘ট্রেডমিল’ এড়িয়ে চলায় ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত ট্রেডমিলে হাঁটা বা দৌঁড়নো খুবই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। কিন্তু কিছু কিছু শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ট্রেডমিল ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক সেই শারীরিক সমস্যাগুলো কি কি -
অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগা মানুষরা ট্রেডমিলে দৌঁড়ালে অস্থিসন্ধির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও ওজন যদি ট্রেডমিলে দৌঁড়ানোর উপযুক্ত ওজনের তুলনায় বেশি হয় তবে প্রথমে অন্যান্য ধরনের শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কিছুটা কমিয়ে তারপর ট্রেডমিল ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। এই ওজন অবশ্য ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে।
যাদের অস্টিওপোরোসিস রয়েছে তাদের এই রোগে হাড় ও অস্থিসন্ধিগুলো দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই অবস্থায় কেউ ট্রেডমিলে দৌঁড়লে হাড় ও অস্থিসন্ধির সমস্যা আচমকা বেড়ে যেতে পারে।
হাঁটুর ব্যথা থাকলে এমনিতেই হাঁটাচলা করা সমস্যা। এই অবস্থায় ট্রেডমিলে মাত্রাতিরিক্ত হাঁটলে, ভালোর চেয়ে খারাপ হতে পারে। তাই যাদের হাঁটুর সমস্যা রয়েছে, তাদের ট্রেডমিল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফ্ল্যাট ফুট এমনিতে খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও দৌঁড়ানোর সময় বেশ সমস্যা তৈরি করতে পারে। যাদের দুই হাঁটু পাশাপাশি স্পর্শ করে, তাদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই অবস্থায় ট্রেডমিলে দৌঁড়নোর সময় কোনও ভাবে হোঁচট খেলে বা ভারসাম্য হারিয়ে গেলে চোট লাগার ঝুঁকি থেকে যায়।
পিঠের সমস্যা থাকলে কিংবা লর্ডোসিস, স্কোলিওসিস ও কাইফোসিসের মতো অঙ্গবিন্যাসগত সমস্যা থাকলে ট্রেডমিল ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
সুত্র: আনন্দবাজার
আরএমএ/এসএ/