ড. ইউনূসকে মোদির চিঠি, কূটনীতির নতুন ঈঙ্গিত
প্রকাশিত : ২০:০৯, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ দিন পর অন্তবর্তীকালীন সরকার ড.ইউনূসকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে এই দীর্ঘ সময় পর শুভেচ্ছা জানানোর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে?
প্রশ্ন উঠছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের পর মোদির ভাবনা পরিবর্তন হয়েছে?
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। দুই নেতার আলোচনায় মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতা, অবৈধ ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। তবে এ অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে, যা কৌতূহলের জন্ম দেয়।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে ২৩ জানুয়ারি। রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস জানিয়েছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন ব্যক্তিগতভাবে তাকে দুঃখিত করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সব সময় শক্তিশালী হওয়া উচিত।
একদিকে ট্রাম্পের ফোন অন্যদিকে ইউনূসের আহ্বান এর পরপরই এলো নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা। তাই প্রশ্ন উঠছে এটি কী শুধুই কাকতালীয় নাকী এই সাধারণ শুভেচ্ছা বার্তার পেছনে রয়েছে নতুন কোন ইঙ্গিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এই ঘটনার পরে, বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের নতুন দিক দেখতে চাইছেন।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর বিষয়ে খুব বেশি সরব ছিল না। সাদামাটা ভাবেই তারা এই খবরটি প্রচার করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, নতুন দিকে মোড় নিতে চলেছে বাংলাদেশ-ভারত। তাদের দাবি, সাবেক বাইডেন প্রশাসনের বিশ্ব-সম্পর্কের ধ্যানধারণা মতো চলতে চাইছে না ট্রাম্প। তিনি নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছে। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পরই ড. ইউনূসকে মোদি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। এটি মূলত কূটনৈতিক শুভেচ্ছা।
মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপে বাংলাদেশের বিষয়ে কোন কথা হয়েছে বলে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে গেল কদিন আগেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে কথা বলেছিলেন।
এদিকে ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আমি উচ্ছ্বসিত। (প্রেসিডেন্ট হিসেবে) তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তাঁকে অভিনন্দন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও বিশ্বস্ত অংশীদারত্বের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং বিশ্বশান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
এসএস///
আরও পড়ুন