ডলির পরে ঝং ঝং এবং হুয়া হুয়া
প্রকাশিত : ২৩:২৯, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৪০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ডলি নামের এক ভেড়ার কথা মনে আছে? ১৯৯৭ সালে ক্লোনিং করা ডলি! ক্লোনিং এর মাধ্যমে বিশ্বে প্রথম জন্ম দেওয়া কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী ছিল ডলি। ১৫ বছর আগে মৃত্যু হলেও এখনও পৃথিবীতে আলোচনায় আছে ডলি। ডলি’র ক্লোনিং এর সময় পাওয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে এখনও চলছে গবেষণা। সম্প্রতি এক বানরেরও ক্লোন করা হয় ডলির ক্লোনিং এর সূত্র ধরে।
ডলির ক্লোনিং করা জন্ম নিয়ে যেমন রহস্য ছিল তেমনি তার মৃত্যু নিয়েও সন্দেহ আছে বিজ্ঞানীদের মনে। একটি ভেড়া সাধারণত ১০ বছর বাঁচলেও ডলি মাত্র ছয় বছর বয়সেই মারা যায়। অনেক গবেষক তখন ধারণা করেন যে, ক্লোনিং হয়তো জীবের জন্য ভাল নয়। এমনকি মানুষের ক্লোনিং করা নিয়েও গভীর আশংকা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা। যে কারণে এখন পর্যন্ত কোন মানুষের ক্লোন আবিষ্কারের খবর জানা যায়নি।
তবে এত কিছুর পরেও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্লোন করা দুই বানরের কথা জানায় গবেষকেরা। বানর দুইটির নাম রাখা হয়েছে ঝং ঝং এবং হুয়া হুয়া। চীনের একটি গবেষণাগারে জন্ম হয় এই দুই বানরের। গবেষকদের দলের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ইন্ডেপেন্ডেন্ট জানায় যে, যে পদ্ধতি অনুসরণ করে ডলির জন্ম দেওয়া হয়েছিল সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই জন্ম হয় এই বানর দুইটির।
তবে বানর দুইটির সফল জন্মের আগে গবেষকদের কয়েকটি উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। গবেষকদলের সদস্য অধ্যাপক লোভেল ব্যাজ বলেন, “দুইটি বানর জন্মের কিছু সময় পরই মারা যায়। তাদের মাঝে কিছু অস্বাভাবিকতাও ছিল। যদি বাইরের মানুষেরা ঐ বানর দুইটিকে দেখতেন তাহলে প্রতিক্রিয়া হয়তো এখনকার চেয়ে খারাপ হতো”। তবে বানরের এ ক্লোনিং এর মাধ্যমে মানুষ ক্লোনিং এর পথে অনেক ধাপ আগানো গেছে বলে মনে করছেন ক্লোনিং সমর্থনকারী বিজ্ঞানীরা।
তবে ঝং ঝং এবং হুয়া হুয়া এর জন্ম দেওয়া গবেষকদলের চীনা সদস্য ড. কুয়াং সান বলেন, “পারমাণবিক শক্তি এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যেমন দ্বিমুখী তলোয়ার তেমনি ক্লোনিংও একটি ভালো আর খারাপ মিশ্রিত প্রযুক্তি”। পাশাপাশি এই গবেষকদের মানুষ ক্লোন করার কোন পরিকল্পনা নেই বলেও চীনা গণমাধ্যমকে জানান সান।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডেপেন্ডেন্ট
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন