ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ডাকসুতে বিজয়ীরা কোনও দলের নয়, সব শিক্ষার্থীর: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯:১৩, ১৬ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ২০:৫৯, ১৬ মার্চ ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে যে বিজয়ী হয়েছে সে সব ছাত্রদের জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নবনির্বাচিত ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদের নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে ভোট দিল কে দিল না; এটা নয়। এসব মাথায় রাখা যাবে না। যে নির্বাচিত হয়েছে সে সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করবে। কে হলো কে হলো না সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। ভোটটা সুষ্ঠু হোক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ভিপি পদে শোভন জয় লাভ করে নাই। আমার কাছে আসছে আমি বলেছি- যে জিতেছে তাকে অভিনন্দন জানাতে। ধন্যবাদ জানাই শোভনকে। আমি তাদের পরিবারের সবাইকে চিনি। এটাই হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতিতে হারজিত তো থাকবেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। আমরা আসলে নেতৃত্ব খুঁজি। এই নেতৃত্ব ছাত্র জীবন থেকে গড়ে উঠতে হবে।

কোটা সংস্কার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন আমরাও করে এসেছি। আন্দোলনে সহিংসতা চাই না। সাহস থাকা ভালো। কিন্তু পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আন্দোলনে সুযোগসন্ধানীরা থাকে, তাদের ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে ছাত্রনেতাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজি। আর ছাত্রজীবন থেকেই তা গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য স্কুল পর্যায়ে ক্যাবিনেট চালু হয়েছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগে রাজনীতির পরিবেশ এতো সুষ্ঠু ছিল না, এখন সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে। নেতৃত্ব তুলে আনতে এই ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।

তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে ভিসির বাড়িতে আগুন দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।

সেসময় ছাত্রী হলগুলোতে অস্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ঘুমোতে পারিনি। যখন জেনেছি ছাত্রীরা নিরাপদে হলে ফিরে গেছে, তখন বিশ্রামে গিয়েছি।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকালে ডাকসু নির্বাচনের সময় সংঘাতের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এটা স্বস্তির যে গত ১০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল না।

এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি