ডাক্তারদের গড় আয়ু ১০ বছর কম!
প্রকাশিত : ১৫:১৮, ২৬ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩৩, ২৬ জুন ২০১৯
যখন একজন ভাইরাল জ্বরের রোগী দেখেন তখন তিনি অবশ্য ভাইরাসের মুখোমুখি হন। যখন সন্তান প্রসব করান তখন গর্ভবতী মায়ের অজান্তে হলেও তার ছিটকে পড়া প্রস্রাব বা মল তার মুখে এসে পড়ে। রাতে অন্তত দশটা ডেলিভারি কল ধরতে হয়।
ডায়াবেটিক গাংগ্রিন যখন তিনি ড্রেস করেন তখন সেই বিকট গন্ধ সইতে হয়। বমি ভাব সারাদিন কিছু খাওয়া যায় না।
নিজের শিশু সন্তান অসুস্থ থাকলেও তাকে অন্যের কাছে দিয়ে অসুস্থ শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে ছুটে আসতে হয়।
এরপর সকালে ঠিক সময় ডিউটিতে আসতে হয়।
একজন নিউরো সার্জন এক টানা ১২ ঘণ্টা অপারেশন করতে হয় তখন তার সময় জ্ঞান থাকেনা তাকে নিজের নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতে হয়।
একজন কারডিওলজিস্টকে ল্যাবে ভয়ঙ্কর বিকিরণের মুখোমুখি হতে হয়। লাবে যে ডাক্তাররা আর টেকনোলোজিস্ট কাজ করেন তাদেরকে রোগীর নমুনার অনেক ভয়ানক জীবাণু সংক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়।
সামাজিক জীবন বলতে কিছুই নাই, পরিবারের কাছে এজন্য অপরাধী থাকতে হয়। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানে, পারিবারিক অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া যায় না এ জন্য কথা শুনতে হয়। তবু অনেক সময় নিগৃহীত হতে হয় প্রহৃত হতে হয় অকারণে।
একজন মেধাবী তরুণ ডাক্তারকে কারণ দর্শানোই হয় কিন্তু তার মর্ম বেদনা গ্রাহ্য করা হয় না, তাদের হৃদয়ের কথা কেউ শোনে না । আয় যা হয় তরুণ ডাক্তারদের তা উল্লেখ করার মত নয়। এত পরিশ্রমের, এত কষ্টের পর মেলে গঞ্জনা। আশ্চর্য যারা জীবন বাঁচায় তাদের প্রতি কেন এত হিংসা, এত বিদ্বেষ?
যত দোষ নন্দ ঘোষ চিকিৎসার সব কিছুর জন্য দায় কেবল ডাক্তারের। আপনি কি জানেন বিজ্ঞানীরা দেখেছেন সাধারণ সুস্থ মানুষের তুলনায় ডাক্তারদের গড় আয়ু তাদের এই চাপের কারণে ১০ বছর কম।
বেশির ভাগ ডাক্তার যা আয় করে তা বলার মত নয় কিছু ডাক্তার হয়ত ভাল আয় করে শ্রম দিয়ে দক্ষতা দিয়ে তাই দিয়ে সব ডাক্তারদের আয় সেভাবে বিচার করে পাবলিক। ডাক্তারকে মর্যাদা দিন।