ডাবল লাইনের সুফল পেয়ে খুশি যাত্রীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫২, ২৩ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১৩:৫৩, ২৩ জুলাই ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আখাউড়া-লাকসামের ৭২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইন দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। এতে বেড়েছে ট্রেনের গতি, কমেছে ক্রসিং দুর্ভোগ। সময় কম লাগা এবং যাতায়াত সহজ হওয়ায় খুশি এই রুটের রেল যাত্রীরা।
দেশের পূর্বাঞ্চলের ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি রাজধানীর সাথে সংযোগ ঘটিয়েছে চট্টগ্রামের। প্রতিদিন এ পথ দিয়ে চলাচল করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনীর জেলার হাজারো মানুষ।
সরকারের তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এর আগে ১৩১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা হয়। সবশেষ আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত অবশিষ্ট ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইনে উন্নীত করা হলো। ব্যয় হয় ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর সুবিধা ভোগ করছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানান, মানুষের যে ভোগান্তি ছিল সেই ভোগান্তি এখন আর নাই। ডাবল লাইন হওয়ায় সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
আখাউড়ার পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, “কোথাও যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে ৫-১০ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে হতো। এখন আর অপেক্ষার বিষয়টি নাই।”
প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ট্রেন চলাচল করতে পারবে। আসবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বলছেন সংলিষ্টরা।
কসবা স্টেশন মাস্টার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “একটা ট্রেন যাওয়ার পর আরেকটা ট্রেনকে আসতে হতো, ক্রসিং করতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হতো। এখন ডাবল লাইন হওয়াতে কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে হচ্ছেনা”
আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্প পরিচালক মো. সবুক্তগীন বলেন, “এখন যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময় লাগবে। আমরা আশা করছি, চট্টগ্রাম থেকে পরিবহন আরও বাড়বে তাতে রেলের আয়ও বেড়ে যাবে। যাত্রীরা কম সময়ে যেতে পারবেন, রেলে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।”
ডাবল লাইনের সুফল পেতে এবং যাত্রীচাপ বিবেচনায় এই রেলপথে আরও ট্রেন সংযোজনের দাবি স্থানীয়দের।
এএইচ
আরও পড়ুন