ডার্ক ওয়েভের ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৬, ৩১ আগস্ট ২০২৩
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহার এখন সর্বত্র। বিশ্বজুড়ে আর্থিক ও সেবা খাতের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান চলছে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনায়। এতে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড সহজ হয়েছে; হাতে মুঠোয় চলে এসেছে বহু সেবা। তবে দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কিছু ক্ষেত্রে ঘটছে সাইবার হামলা। ডার্ক ওয়েভের হোতাদের ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি।
২০১২ থেকে ২০২৩ সাল, মাত্র এক দশকেই বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবার উন্নতি বিস্ময়কর! প্রযুক্তিবিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মকাণ্ড এখন অনেকটাই ডিজিটাল। বিশেষ করে আর্থিক খাতে প্রযুক্তির বিকাশ চমকে দেয়ার মতোই।
কিন্তু এসবের ঝক্কিও পোহাতে হচ্ছে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আইটি প্রফেশনালস, আর্থিকখাত এবং ক্ষেত্র বিশেষে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও। কেননা উদ্ভাবকদের মস্তিষ্কও স্ক্যান করার ক্ষমতা রাখে ডার্ক ওয়েভে ঘাপটি মেরে থাকা হ্যাকার বা অপরাধ চক্র। আর তাই সাইবার হামলা ঠেকাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকি ব্যবস্থায় দরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারির সক্ষমতা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিতে হবে। সাইবার হামলা ঠেকানোর প্রস্তুতি থাকতে হবে। সেই পরিমাণ রিসোর্স নিতে হবে যাতে যত বড় হামলাই আসুক না কেন মোকাবেলা যেন করতে পারি।”
সম্প্রতি একরকম ঘোষণা দিয়েই দেশের জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করে হ্যাকার চক্র; হামলা হয় ওয়েবসাইটেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাইবার হামলা ঠেকানোর মতো নিরাপত্তা বলয় না থাকার সুযোগ নিয়েছে সাইবার অপরাধীরা। তথ্য ভান্ডারের সুরক্ষায় প্রয়োজন দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সুমন আহমেদ সাবির বলেন, “ভবিষ্যতে বাইরের আক্রমণ এবং ঘরের ভেতরের আক্রমণ চিহ্নিত করে যদি ব্যবস্থা নেয়া যায় তাতে শতভাগ না হলেও ৯৯ ভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে।”
তথ্য-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তির ওপর ভর করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবেও এগিয়ে থাকতে চায় বাংলাদেশ। এই যখন লক্ষ্য, তখন প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সাথে সাইবার হুমকি মোকাবেলাতেও আটঘাট বেঁধেই নামতে হবে যুদ্ধে।
বেসিস পরিচালক রাশাদ কবির বলেন, “আমাদের ডেটাগুলো হ্যাকারদের কাছে চলে যাচ্ছে। এতে বড় অংকের ক্ষতি আছে।”
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেবাসংস্থা, ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর সব তথ্য নিরাপদ রাখতে সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার কথা বলছেন প্রযুক্তিখাত সংশ্লিষ্টরা।
রাশাদ কবির বলেন, “সরকারি সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট সিক্যুরিটির বাজেট ৩০-৩৫ লাখ টাকা আর সেই সফটওয়্যার উদ্বোধন করতে তিন-চারজন মন্ত্রীকে এনে ৪০ লাখ টাকা খরচ। আমাদের মধ্যে শো করার বিষয়টি বেশি, আসলে এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”
তথ্য-প্রযুক্তি খাতের বিকাশ, কর্মসংস্থানের নিরাপদ সুযোগ সৃষ্টি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এখাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাইবার সিকিউরিটিতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ
আরও পড়ুন