ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিরাময়ে আপনার করণীয়
প্রকাশিত : ০৮:৩০, ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৪:২০, ১৭ মে ২০১৮
জীবন থাকলে রোগ থাকবে, আর রোগ থেকে বেঁচে থাকার উপায় জানা থাকলে রোগ প্রতিরোধ করা খুব কঠিন নয়। কোনও কোনও রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ অনেক সহজ। যেমন ডায়াবেটিস রোগ।
১. বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রাকৃতিক খাবার খান। টিনজাত খাবার, ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বর্জন করুন।
২. প্রতিদিন মাছ মাংস ডিম দুধ খাবেন না। সপ্তাহে ২ দিন বড় মাছ, ২ দিন ছোট মাছ, ১ দিন মাংস এবং ২ দিন সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খান। সঙ্গে প্রতিদিন পর্যাপ্ত শাক-সব্জি, পরিমিত পরিমান ডাল ও ২/৩ টি মৌসুমি ফল খান।
৩. মাংসের মধ্যে চামড়াছাড়া ১ কেজির কম ওজনের মুরগীর মাংস অল্প পরিমানে খান। গরু খাসি বা পাঠার মাংস যত কম খাবেন তত ভালো। না খেলে আরও ভালো।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন। আপনার কাঙ্খিত ওজন জেনে নিন।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে সকালে ভরপেট নাস্তা করুন, দুপুরে তৃপ্তির সঙ্গে খান এবং রাতে ফকিরের মতো আহার করুন।
৬. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের মধ্যে যোগ ব্যায়াম হচ্ছে সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। তবে বাড়তি ওজন কমাতে এর সঙ্গে ৩০ মিনিট ঘন্টায় ৪ মাইল বেগে হাঁটুন।
৭. মদপান ও ধূমপান বর্জন করুন।
৮. প্রতিদিন ১ কাপ টকদই বা ইয়োগার্ট খান।
৯. প্রতিদিন ৫০ গ্রাম বাদাম খান।
১০. নিয়মিত স্পিরুলিনা খান। জাতিসংঘ স্পিরুলিনাকে একবিংশ শতাব্দির খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।
১১. গরুর দুধের বদলে সয়াদুধ খান। কেননা সয়াদুধ গরুর দুধের সমান পুষ্টিসম্পন্ন অথচ সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলমুক্ত।
১২. পাকস্থলীর এক তৃতীয়াংশ খাবার, এক তৃতীয়াংশ পানীয় এবং এক তৃতীয়াংশ ফাঁকা রাখুন।
১৩. রাতে ভুরিভোজন এড়িয়ে চলুন। রাতে ভুরিভোজন হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।
১৪. প্রতিবেলার খাবার সর্বোচ্চ ৩ পদে সীমিত রাখুন।
১৫. মনের চাপ শরীরের উপর পড়ে। দুশ্চিন্তা, টেনশন, হতাশা যেমন ডায়াবেটিস হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনি ডায়াবেটিক রোগীর রক্তের গ্লুকোজ লেভেলও বাড়ায়। তাই সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। আর এজন্যে প্রতিদিন দুবেলা ৩০ মিনিট করে মেডিটেশন বা ধ্যান করুন।
একে/