ডিজিটাল খাতে সাফল্য দেখাচ্ছেন তরুণ প্রযুক্তিবিদরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৭, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
প্রশিক্ষণ, সাথে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ। আইসিটি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষিত লাখো তরুণ-তরুণী। ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, রোবোটিক্সসহ সফটওয়্যার ও অ্যাপ নির্মাণে অবাক করা সাফল্য দেখাচ্ছেন তরুণ প্রযুক্তিবিদরা।
এখন সময় তথ্য-প্রযুক্তির। কৃষি, শিল্প কিংবা সেবা; সব খাতেই বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দরকার বিপুলসংখ্যক প্রযুক্তিবিদ। আইসিটি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ।
লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে সরকার। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং বা এলইডি কর্মসূচির আওতায় ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কয়েক লাখ। আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।
এদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, রোবোটিক্সসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অ্যাপ নির্মাণেও পিছিয়ে নেই নতুন প্রজন্ম। আছে স্টার্টআপে বিস্ময়কর সাফল্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এলইডি কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পাওয়া প্রায় পৌনে দুই লাখের মধ্যে ৫৩ হাজার জন পেয়েছেন প্রফেশনাল আউটসোর্সিংয়ের ট্রেইনিং।
ফ্রিল্যান্সার হাবিবুর রহমান বলেন, স্টার্টআপ ও বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং নিয়েছি। এখন আমার ২শ’ থেকে ৩শ’ বায়ার আছে।
উদ্যোক্তা রওশন আরা বলেন, ডিজিটালাইজেশন ছিল বলে আমি ঘরে বসে বিভিন্ন পেইজের মাধ্যমে সারা বিশ্বে আমার প্রোডাক্টটা দেখাতে পারছি।
এছাড়া ৭৭ হাজার প্রতিবন্ধী ও নারীকে গড়ে তোলা হয়েছে দক্ষ আইসিটি কর্মী হিসেবে। যারা আয় করছেন মিলিয়ন ডলার।
তবে শুধু আয় নয়; দেশের কৃষি, শিল্প, সেবা খাতকে বদলে দিতে চান প্রযুক্তিপ্রেমীরা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও স্মার্ট ইরিগেশন অ্যান্ড ফার্মিং নিয়ে বড় স্বপ্ন তাদের।
উদ্যোক্তা এস এম আরিফুজ্জামান বলেন, ছোটবেলায় দেখতাম যে গ্রামের সাধারণ মানুষকে কোন একটা সেবার জন্য উপজেলা বা জেলায় যেতে হতো। তাদের ভোগান্তির শেষ ছিল না। সেই সময় থেকে এসব মানুষের জন্য বিকল্পভাবে কিছু একটা করা যায় কিনা।
নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী ভাবনা ও শক্তির ওপর ভর করেই বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
এলইডি কর্মসূচির পিডি হুমায়ূন কবির বলেন, ১ লাখ ৬৬ হাজার জনকে ট্রেনিং দেয়ার টার্গেট। তার মধ্যে ৫৭ জনকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ৮ মিলিয়নের অধিক তারা উপার্জন করেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
এইভাবেই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা বাস্তবায়িত হবে এবং ২০৪১ সালের যে রূপকল্প আছে উন্নত সোনার বাংলায় পরিণত হবে দেশ।
এএইচ/
আরও পড়ুন