ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘ডুবতে থাকা ছেলের হাত ধরেছিলাম, বাঁচাতে পারিনি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে জীবন বাঁচাতে ছোট্ট ট্রলারে করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিল এক শতাধিক রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ছিল বেশি। কিন্তু সাগরে ডুবে প্রাণ গেছে অন্তত ১৬ জনের। বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গোপসাগরের ইনানী সৈকত পয়েন্টে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
 
রাখাইন থেকে নৌকায় পালিয়ে আসা ওই ১০০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন ২২ বছর বয়সী যুবক নুরুল ইসলাম। গত বুধবার রাতে রাখাইন রাজ্যের রাথেডংয়ের গো জোন ডিয়া গ্রাম থেকে তাঁরা বাংলাদেশে আসছিলেন।


নুরুল ইসলামদের বহনকারী নৌকাটি ইনানী সৈকতে ডুবে যাওয়ার পর ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাডুবির বিষয়ে তিনি আলজাজিরাকে জানান,এক শতাধিক রোহিঙ্গা বোঝাই ওই নৌকায় তাঁর মা, স্ত্রী ও শিশুসন্তান ছিল। একই সঙ্গে সেখানে তাঁর বোন ও তার তিন সন্তান ছিল। তিনি আশঙ্কা করছেন, তাঁদের সবাই মারা গেছে।


চোখের সামনে সন্তানের ডুবে যাওয়া প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে ধরে রাখতে রাখতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ডুবতে থাকা ছেলের হাত ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি।


ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ২৭ বছর বয়সী বিলাল উদ্দিন আলজাজিরাকে বলেন, আমি দেখছিলাম, অনেকে ডুবে যাচ্ছে। আমি কাউকে রক্ষা করতে পারিনি। তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তিনি বলেন, আমি মৃতদের মধ্যে দু’মাসের এক শিশুকে দেখেছি। তবে আমি কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি ।


মোহাম্মদ কাই কিসলু নামে পুলিশের এক পরিদর্শক আলজাজিরাকে বলেন, বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা বলেছে, ওই নৌকায় ১০০ জন ছিল।


ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কাই কিসলু দুর্ঘটনা থেকে বেচেঁ আসা একজনের বরাত দিয়ে আল জাজিরাকে বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটিতে ১০০ এর বেশি যাত্রী ছিল এবং তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল নারী ও শিশু ।
সূত্র:আল-জাজিরা
/এম/এআর
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি