ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গতি নেই

সাইদুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১৩:২৯, ১৪ অক্টোবর ২০২১

তিন বছর বন্ধ থাকার পর চালু হলেও নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে নেই গতি। আর এখনও বন্ধ রয়েছে নবায়ন। লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ কার্যালয়ে ঘুরছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ। এরমধ্যে নতুন ভোগান্তি, চুক্তিবদ্ধ মাদ্রাজ সিকিউরিটিজ-এ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে ঘুরতে হয় দিনের পর দিন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে জমে থাকা লাইসেন্স দিতে চায় কর্তৃপক্ষ।

ভোলার গাড়ি চালক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে লাইসেন্স পাওয়ার কথা। ঘুরছেন প্রায় তিন বছর। এর মধ্যে অন্তত ৪ বার ঢাকা এসেছেন। কবে লাইসেন্স পাবেন তার জানা নেই। লাইসেন্স পেলেও মেয়াদ পাবেন মাত্র দুই বছর।

প্রায় ১২ লাখ মানুষ এভাবেই ঘুরছেন বছরের পর বছর।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন জায়গায় গেলে শুধু হয়রানি। বলা হয় এই জায়গায় যান, ওই জায়গায় যান। কিন্তু দালাল ছাড়া কোন কাজই হয় না।

লাইসেন্স পাওয়ার ওপর নির্ভর করছে অনেকেরই চাকরি। পেশায় যারা গাড়িচালক তারা আছেন ভীষণ বিপাকে।

এমন অনেকেই জানান, ইন্টারভিউতে গেলে বলে লাইসেন্স লাগবে। কিন্তু আমরা লাইসেন্স পাচ্ছিনা চাকরিও পাচ্ছি না। দলাল ছাড়া নিজে করার মত কোন প্রসেস নাই এই জায়গায়। ইতিমধ্যে দালালের মাধ্যমে আমার ১৩ হাজার চলে গেছে।

ভাড়া করা অফিসে আরও বিপত্তি। ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য মিরপুরে পর্যাপ্ত জায়গায় নেই। লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে হয় জোয়ার সাহারায়। পরীক্ষা দিতে অতিরিক্ত ৩শ’ টাকা দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের।

লাইসেন্স দেয়া নিয়ে টাইগার আইটির জটিলতার পর নতুন করে চুক্তি হয়েছে মাদ্রাজ সিকিউরিটির সাথে। সেখানেও আছে হয়রানি। ভোর রাতে ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্তত ছয় ঘণ্টা পর যখন তাকে ডাকা হলো তখন বলা হয়েছে তার ফাইল আসেনি। 

আগামী ৬ মাসের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বিআরটিএ।

বিআরটিএ রোড সেফটি পরিচালক মাহবুবে-ই রব্বানী বলেন, সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে সমস্ত প্রিন্টিং কাজ উঠিয়ে দেবে। আর নতুন যে লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে, সেটা দিতে তো কোন সমস্যা নেই। সেটা আমরা নির্দিষ্ট সময়ে দিয়ে দিচ্ছি। তবে যে সমস্যা রয়েছে, এটা আর থাকবে না।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি