ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঢাকা ফাঁকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৩, ২ মে ২০২২

Ekushey Television Ltd.

করোনা মহামারির পর পুরনো রূপে ফিরে এলো ঈদ। গত ৪ ঈদের মতো এবার নেই লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠোর নির্দেশও নেই। গত দুই বছর যারা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেননি, তারাও এবার ছুটেছেন নাড়ির টানে। সাপ্তাহিক ছুটি, মে দিবস ও ঈদ মিলিয়ে বিশাল ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। ঈদের আগের দিন ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা।

ঈদের আগে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ছিল সরকারি চাকরিজীবীদের শেষ কর্মদিবস। এদিন থেকেই মূলত ফাঁকা হতে শুরু করে রাজধানী। গত চার দিনে বিপুলসংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়েছেন। ঈদের ছুটি, তীব্র গরম সব মিলিয়ে রবিবার (১ মে) রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ছিল একেবারে ফাঁকা।

সোমবার রাজধানীর প্রতিটি রাস্তাই দেখা গেছে ফাঁকা। কল্যাণপুর থেকে কাওরানবাজার আসতে সময় লেগেছে ৭ থেকে ৮ মিনিট। সাধারণত এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সকালে সময় লাগে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা। আর দিনের অন্যান্য সময় লাগে প্রায় ১ ঘণ্টা। আবার কাওরানবাজার থেকে একই দিন মতিঝিল যেতে যময় লেগেছে ৮ থেকে ১০ মিনিট। সাধারণত এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মতো।

রাজধানীর সব পয়েন্টে যানবাহনের চাপ একে বারেই কম। মিরপুর, কাজীপাড়া, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শ্যামলী, আসাদগেট, ধানমন্ডি, এমনকি অফিসপাড়া মতিঝিল ফাঁকা। প্রাইভেটকার আর মোটরসাইকেল রাজত্ব করছে পুরো রাস্তায়। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আছে লোকাল বাস। যদিও তা খুব কম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশার সংখ্যা কমে গেছে রাজধানীজুড়ে।

গত কয়েকদিন ধরেই ধীরে ধীরে যানবাহনের সংখ্যা কমেছে। সোমবার একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে ঢাকা। সবগুলো রাস্তাই এখন খালি। রাস্তায় মানুষও কম।

ধারণা করা হচ্ছিল, এবার ঈদের ছুটিতে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ বাড়িমুখো হবে। আর সে জন্য সড়ক-মহাসড়কে যানজটে পড়তে হবে তাদের। তবে সে চিত্র এবার দেখা যায়নি। বড় ধরনের যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি মানুষকে। কারণ হিসেবে পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ২৬ রমজানেই শুরু হয়ে গেছে ঈদযাত্রা। শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। ঈদের বাকি এখনও দুই থেকে তিন দিন। দীর্ঘ ছুটির কারণে মানুষ আগেভাগেই গ্রামমুখী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আবার অতীতে ঈদযাত্রায় যানজটের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের আগেভাগে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোয় যাত্রীর উপচেপড়া ভিড় ছিল না। ফলে সড়ক পরিবহনের সঙ্গে যাত্রীর চাপ পড়েনি।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি