ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সেই টোল প্লাজার দুর্ঘটনার কারণ জানালো র্যাব
প্রকাশিত : ১৯:২৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৯:২৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কুচিয়াপাড়া এলাকার টোল প্লাজায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসটির ব্রেকে সমস্যা ছিল এবং চালক নেশা করতেন বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
র্যাব জানায়, বাসচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবুও তিনি নিয়মিত বাস চালিয়ে আসছিলেন। এছাড়াও ঘাতক বাসটির কোনো ফিটনেস ছিল না। এরপরও সেটি চালানো হচ্ছিল মহাসড়কে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য জানান র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
মুনীম ফেরদৌস জানান, বাসচালক নুরুদ্দিন গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল সোয়া দশটায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি যাত্রীবোঝাই থাকলেও তিনি দ্রুত পৌঁছানের জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে থাকেন। পরে তিনি সকাল ১১টার দিকে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল দেওয়ার জন্য অপেক্ষারত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেন। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের ৪ জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা একজন নারী এবং সাত বছরের এক বাচ্চাসহ ৬জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে চালক নুরুদ্দিন র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি গত ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২ বছর ধরেই মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও বাসটির কোনো ফিটনেস সনদও ছিল না। তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে শুক্রবার বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের চারজনসহ দুটি গাড়ির ছয় আরোহী নিহত ও চারজন আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই পাঁচজন ও বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
এমবি
আরও পড়ুন